গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ
মাদক পাচার প্রতিরোধে টেকনাফ উপজেলায় দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ অব্যাহত ভাবে চলছে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, বন্দুকযুদ্ধের ইয়াবা পাচারও থেমে নেই! কারন ইদানিং প্রতিনিয়ত মিয়ানমার থেকে আসছে বস্তা বস্তা ইয়াবা। মাদক কারবারে জড়িতরা নিত্য-নতুন কৌশল অবলম্বন করে পাচার কাজ অব্যাহত রেখেছে। সেই সুত্র ধরে গতকাল রাতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদ পেয়ে টেকনাফ নাফনদী হ্নীলা জাদীমুড়া সীমান্তে অভিযানে গেলে পাচারকারী দলের সাথে গোলাগুলি সংঘটিত হয়। তবে এই গোলাগুলিতে কেউ হতাহত হয়নি।
তবে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ৯ লক্ষ, ৬২ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার ও একটি কাঠের নৌকা জব্দ করেছে বিজিবি।
২রা জুন সকাল সাড়ে ১১টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফয়সাল হাসান খাঁন ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের হলরোমে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এই বৃহৎ ইয়াবার চালান উদ্ধারের বিবরণ দেন।
তিনি বলেন গত ১জুন রাতে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল নাফনদীতে নৌকা নিয়ে টহল দেওয়ার সময়। রাত সাড়ে ৯টারদিকে হ্নীলা জাদিমোরা নাফনদী সীমান্ত এলাকার বিআরএম-৯ এর নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে হস্তচালিত একটি নৌকা নিয়ে বেশ কয়েকজন চোরাকারবারী বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করার সময় বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে বিজিবি সদস্যরা আত্ববরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। তারপর পাচারকারী দলের সদস্যরা সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর বিজিবি সদস্যরা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া নৌকাটি তল্লাশী করে পরিত্যক্ত অবস্থায় বেশ কয়েকটি ইয়াবার বস্তা উদ্ধার করা হয়। তারপর গণনা করে ৯ লক্ষ,৬২ হাজার পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি অধিনায়ক বলেন ইয়াবা কারবারে জড়িত আড়ালে থাকা মুলহোতাদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে পারলে এই সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক পাচার কমে আসবে বলে ধারনা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন মাদক পাচারে জড়িত অনেক গডফাদার নাম আমরা পেয়েছি। সেই সমস্ত গডফাদারদের আটক করার জন্য খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিজিবি দাবী উদ্ধারকৃত এই ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এদিকে গোলাগুলির পর পরই ৩/৪জন রোহিঙ্গা নাফনদী হতে পালিয়ে জাদীমুড়া বৃটিশ পাড়া এলাকায় প্রবেশ করতে দেখেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক ঐ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিমত প্রকাশ করে বলেন উক্ত গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারীদের আইনের আওয়তাই এনে জিজ্ঞাসাবাদ এই ইয়াবা পাচারে কারা জড়িত তার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-