প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের যথাযথ প্রত্যাবর্তন এখনও অনিশ্চিত। মিয়ানমার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দেশের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনে তাদের ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আবুধাবির কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার (সিএফএম) রোহিঙ্গাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জবাবদিহিতা ও বিচার সম্পর্কিত প্রশ্নের সম্মুখীন করতে আন্তর্জাতিক আদালতে একটি পথ তৈরি করেছে। এই প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার জন্য আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মিয়ানমারে সৃষ্ট গণহত্যা ও সহিংসতাকে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। এর আগে আমরা স্বেচ্ছাসেবক তহবিল ও কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে আপিল করি।
শুক্রবার (৩১ মে) দিবাগত রাতে মক্কায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থ্যা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে এশিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৫১২) সৌদির বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এসময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসিহ এবং জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন।
এরপর সন্ধ্যায় তিনি মক্কার সাফা প্রাসাদে দুই দিনব্যাপী ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-