গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
টেকনাফে ২ বিজিবি সদস্যরা মাদক বিরোধী চলমান পৃথক ২টি অভিযান পরিচালনা করে ৬ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এসময় বিজিবির গুলিতে ২ জন ইয়াবা পাচারকারী নিহত হয়েছে।
তারা হচ্ছে, হ্নীলা ইউনিয়ন জাদীমুড়া ব্রিটিশ পাড়া এলাকার সুলতান আহাম্মদের পুত্র আব্দুল গফুর(৪০), টেকনাফ সদর ইউনিয়ন কেরুন তলী এলাকার মোঃ শরীফের পুত্র মোঃ ছাদেক(২৩)।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফায়সাল হাসান খান কক্সবাজার জার্নালকে জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি বেশ কয়েকজন চোরাকারবারী মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে টেকনাফ উপকূলে প্রবেশ করবে।
সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ৩১মে রাত সাড়ে ৯টার রাতে হ্নীলা দমদমিয়া ওমর খাল এলাকায় অভিযানে গেলে পাচারকারীরা বিজিবির অবস্থান টের পেলে পাচারকারীরা সূকৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে মালিকবিহীন ৫লক্ষ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে ১লা জুন ভোর রাতে টেকনাফ পৌরসভা নাফনদী ট্রানজিট জেটি সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি সদস্যরা আরেকটি অভিযান পরিচালনা করার সময় মাদক পাচারকারীরা বিজিবির উপর হামলা করলে আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষন পর পাচারকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ ২ ব্যাক্তির মৃতদেহ, ১ লক্ষ ইয়াবা ও দেশীয় দুটি কিরিস উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ঘটনাটির খবর শুনে টেকনাফ মডেল থানার এসআই সুজিত ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত স্থান তল্লাশী করে এক লক্ষ ইয়াব,দেশীয় তৈরী ২টি কিরিচ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া ২টি মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এরপর লাশ ২টির ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার সংখ্যা ৫ লক্ষ ৪০ হাজার বিজিবির তথ্য অনুযায়ী এই ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ১৬ কোটি,২০ লক্ষ টাকা।
জানা যায়,বিজিবি সদস্যদের চলমান মাদক বিরোধী এই দুটি অভিযানের নেতৃত্বে দেন ২ বিজিবি অধিনায়ক বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর গর্ব সৎ ও সাহসী অফিসার লেঃ কর্নেল ফয়সাল হাসান খাঁন।
আজ শনিবার দুপুরে টেকনাফ বিজিবি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বিস্তারিত আরো তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-