বিশেষ প্রতিবেদক :
সাগর থেকে মৎস আহরনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করায় জেলেরা সাগরে নামতে পারছে না। ফলে উখিয়ার হাট-বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে সামুদ্রিক মাছের আকাল। স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কিছু মাছ যেমন ছোট চিংড়ি, তেলাপিয়া, বোয়াল, বাজারে বিক্রি হলেও দাম হাকাঁ হচ্ছে আকাশ ছোয়া। পবিত্র রমজান মাসে আমিষ জাতীয় পন্যের অভাব দেখা দেওয়ায় ক্রেতা সাধারনের পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। পাশাপাশি ৬৫ দিন সাগরে বোট নামাতে না পারায় জেলে পরিবারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা, উদ্যেগ, উৎকন্ঠা। তারা বলছে, ঈদের খুশি তাদের কপালে সইল না।
ইনানী ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো: শফিউল আলম জানায়, সরকার ২০মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখায় উপকূলের প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবারকে আর্থিক দৈনদশায় পড়তে হবে। সে জানায় জেলেদের এমন অবস্থায় সাগরে নৌকা নামলে পরিবারে অন্ন জোটে, না হলে ঐসব পরিবারের অধিকাংশই খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই হঠাৎ করে মাছ ধরা বন্ধ রাখায় ঐসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি এসব জেলেদের সরকারিভাবে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সাগর থেকে মাছ আহরন বন্ধ রাখায় পবিত্র রমজান মাসে উখিয়ার হাট-বাজারগুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের সেহরীর অন্যতম উপাদান আমিষ জাতীয় পন্যের অভাবে বৃহত্তর ক্রেতা সাধারনকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অভিযোগ তুলে মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজা মিয়া জানান, সাগরে ফিশিং বোট নামানো এবং মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় যেসব মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি করে। জীবন জীবিকা নির্বাহ করত তাদেরকেও বিভিন্নভাবে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যেহেতু সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর এমন মুহর্ত্তে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক মাছ ব্যবসায়ী হতাশ হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে আলাপ করা হলে উপজেলা মৎস অফিসার মোহাম্মদ এরশাদ বিন শাহীন জানান, উপকূলের ৩৩৯২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এসব জেলেদের দুয়েক দিনের ভিতরে সরকারিভাবে প্রদত্ত বিজিডির চাল বিতরন করা হবে। তিনি বলেন, মৎস সম্পদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার মহান উদ্যেগ গ্রহন করে এ প্রকল্পটি চালূ করেছে। তা যদি ফলপ্রসু হয় তাহলে স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরন করে এদেশীয় আমিষ জাতীয় পন্য বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-