রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয়দের বসতভিঠা উচ্ছেদ করে এনজিও স্থাপনা নির্মাণ

শফিক আজাদ, উখিয়া

dav

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সবটুকু দিয়েও রেহায় পায়নি স্থানীয় হতদরিদ্র জাফর আলম। বসতভিঠার ২০শতক যে জায়গাটুকু ছিল তাও এনজিও সংস্থার স্থাপনা নির্মাণ করে দেওয়ার ক্যাম্প প্রশাসন তার নির্মাণাধীন বাড়ীটি ভেঙ্গে দিয়েছে। বর্তমানে স্ত্রী,ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছেনা অসহায় জাফর আলম। এর ফলে স্থানীয় গ্রামবাসির মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, তারা দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে থেকে শফিউল্লাহকাটা-১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সম্মূখে বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। গত ৩মাস পূর্বে তৎকালীন ক্যাম্প ইনচার্জ মাহাফুজুর রহমানের স্বাক্ষরিত অনুমতির ভিত্তিতে সেখানে পাঁকা একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।

কিন্তু গত ১৬মে বর্তমান ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কোন প্রকার কথাবার্তা ছাড়া লোকজন দিয়ে জাফর আলম নির্মাণাধীন ঘরটি গুড়িয়ে দেয়। এসময় বাধা জাফর আলম বাধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এমন পিতাকে মারধর না করার জন্য তার নবম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত স্কুল পড়–য়া মেয়ে রুনা ইয়াসমিন ক্যাম্প ইনচার্জের পায়ে পড়ে ক্ষমা চাইলেও তাকেও রক্ষা করেনি উল্টো রুনা ইয়াসমিনের হাতে,পায়ে, বুকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে।

ঘটনাটির বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে কয়েকদিন নিরবতা পালন করেন ক্যাম্প প্রশাসন। কিন্তু বুধবার সকালে থেকে আরো তৎপরতা শুরু করে জাফর আলমের জায়গাকে তুর্কি এনজিও সংস্থা টিকা’র ঘর নির্মাণের মালামাল সামগ্রী মজুদ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জাফর আলমের ছেলে মোঃ সোহেল। এ নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসির মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

পালংখালী ইউনিচেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমি যতটুকু শুনেছি সম্প্রতি এনজিও সংস্থা টিকা (ঞওকঅ)এর সাথে ক্যাম্প ইনচার্জের চুক্তি হয়, এর প্রেক্ষিতে জাফর আলমের বসতভিটাটি ভাড়া দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন ক্যাম্প ইনচার্জ। যার কারনে তার নির্মাণাধীন স্থাপনা সহ বসতভিঠায় মামলা চালায় ক্যাম্প প্রশাসন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বর্তমানে এই এনজিও সংস্থা ক্যাম্প ইনচার্জকে ম্যানেজ করে এলাকায় এক নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে গ্রামবাসীর উপর দমন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খতিয়ে দেখার উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে জানার জন্য ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর নিকট বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরও খবর