নাজাতের মাস রমজান। এ মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। নিভিয়ে দেয়া হয় জাহান্নামের আগুন।
কবরবাসীকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। এ মাস আল্লাহর কাছে এক সম্মানিত মাস। তাই রমজান নাজাতপ্রাপ্তিরও মাস। রমজানে কবরবাসী জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পেতে স্বজনরা করতে পারেন নিয়মিত কবর জিয়ারত। পাঠাতে পারেন স্বজনদের প্রতি ইসালে সওয়াব।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার সমস্ত আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমলের দরজা বন্ধ হয় না। (১) সদকায়ে জারিয়া (২) যদি কেউ এমন সন্তান রেখে যায়, যে সন্তান বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবে, (৩) এমন দীনি শিক্ষা রেখে যায়, যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হতে থাকে। (মুসলিম শরিফ)।
আবদুল্লাহ বিন বারিদা থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা কবরস্থানে গমন কর, কেননা এটা তোমাদের আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (মুসলিম, তিরমিজি)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করে এত কাঁদলেন যে, তাঁর কান্না দেখে আশপাশের সবাই কাঁদল। তারপর রাসূল (সা.) বললেন, ‘আমি আমার প্রভুর কাছে অনুমতি চেয়েছি আমার মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি। অতঃপর অনুমতি চাই মায়ের কবর জিয়ারত করার জন্য। এবার আমাকে অনুমতি দেয়া হলো। অতএব, তোমরা কবর জিয়ারত কর। কেননা এটা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (মুসলিম, আবু দাউদ)।
মাগফেরাতের মাস হিসাবে স্বজনদের জন্য এ সুযোগ আমাদের গ্রহণ করা উচিত। কবরের পাশে তাদের জন্য মাগফেরাত কামনাই তাদের মুক্তির একমাত্র সম্বল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-