মাহাবুবুর রহমান :
তরিতরকারি থেকে শুরু করে মাছ মাংস এমন কি কলা থেকে শুরু করে ধান চাল পর্যন্ত বাজার মনিটরিং কমিটির আওতায় এনে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রন করা হয়।
কিন্তু পবিত্র রমজান মাস আসলেই ঈদকে সামনে রেখে কাপড় ব্যবসায়িদের দৌরাত্ম কমানোর দায়িত্ব কার? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে কিনে এনে নিজেরাই স্টিকারে উচ্চ মূল্যের দাম বসিয়ে বিক্রি করছে অনেক ক্ষেত্রে একই কাপড় একেক দোকানে একেক দাম লাগিয়ে বিক্রি করছে। সচেতন মহলের মতে ৭০০ টাকা দামের কাপড় ৩ হাজার টাকা বিক্রি করছে। বিশেষ করে শিশুদের কাপড়ের দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছে একই সাথে জুতা সেন্ডেলের দামেও চরম নৈরাজ্য বলে মনে করছেন সাধারন ক্রেতারা। তাই অন্যান্য সব ব্যবসায়ির মত ঈদ বাজারের এসব ব্যবসায়িদের নজরদারীর আওতায় আনার দাবী জানান সচেতন মহল।
শহরের টেকপাড়া এলাকার গৃহীনি নাজমা নাসরিন বলেন, রমজান মাস আসলে রোজার পাশাপাশি ঈদের জন্য ও থাকে প্রস্তুতি। তাই গতকাল থেকে শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় কয়েকটি শোরুমে ছোট শিশুদের কাপড় কিনতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে দেখি প্রত্যেকটি কাপড় অতিরিক্ত দাম। একটু ভাল পছন্দসই কাপড় ২ হাজার টাকার কমে নাই। আর সব কাপড়ে শোরুমের নিজস্ব রেইট দিয়ে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। বার্মিজ মার্কেট এলাকার বেবী এ- মম, ফ্যামেলি মার্ট, কিডস ওয়ার্ড, শৈল্পিক, বাঙ্গালী বাবু সহ অনেক দোকানে গিয়ে দেখি প্রত্যেকটি কাপড়ে উনারা নিজস্ব ভাবে দাম লিখে রেখেছে। তবে গ্রাহক হিসাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে প্রত্যেকটি কাপড়ে অন্তত ১ হাজার টাকা বেশি লেখা হয়েছে।
এ সময় শহরের ফুলবাগ সড়ক এলাকার ফিরোজ বলেন, আমি স্বপরিবারে ঈদ বাজারের প্রাথমিক অবস্থা দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকটি কাপড়ের অনেক দাম। আবার কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে একই কাপড় এক দোকানে দাম বলছে ১৮০০ আরেক মার্কেটের অন্য দোকানে ২৫০০ টাকা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক সেই সব দোকানদারদের কাছে বল্লে উনারা বলে কাপড়ে পার্থক্য আছে আসলে কিছুই না,মূলত যার যার ইচ্ছামত দাম লিখে স্টিকার ঝুলিয়ে রেখেছে সবাই।
আলাপ কালে আইনজীবি নুর মোহাম্মদ বলেন, ঈদে ধনী গরীব সবাই নতুন কাপড় কিনে এটা রেওয়াজ। আর সেটাকে টার্গেট করে কাপড়ের দোকানদাররা নতুন কালেকশন বাজারে বিক্রি করে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইদানিং অনেকে সেই বাজারকে অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। কয়েক বছর আগে ছোট বাচ্চাদের কাপড় ৫০০ টাকার ভেতরে পাওয়া যেত কিন্তু এখন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার নীচে ভাল মানের কাপড় পাওয়া যায় না। আর শোরুম গুলো যেভাবে নিজেরা দাম ঠিক করার এখতিয়ার আছে কিনা সেটা প্রশাসনকে ভাল ভাবে নজর রাখতে হবে।
আবার দেখা গেছে একই সার্ট এক দোকানে ৮০০ টাকা আবার সে সার্ট প্যাকেট জাত করে আরেক দোকানে বিক্রি করছে ২২০০ টাকা। এ সব বিষয়ে আসলে দেখার কেউ আছে কিনা।
আলাপ কালে জেলা ভোক্তা অধিকার কমিটির সহ সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন,তরিতরকারি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, খেজুর, চাল, ডাল সব কিছুই যদি প্রশাসনের আওতাধীন থাকে তাহলে কাপড়ের মার্কেট গুলো কেন নজরদারীর আওতায় আনা যাবে না। অসংখ্য মানুষের অভিযোগ কাপড়ের দোকানে গলাকাটা ব্যবসা হচ্ছে। তাই আমরা চাই ঈদ বাজারকে সামনে রেখে কাপড় সহ সব কিছুর তদারকি করা হউক।
এদিকে আলাপ কালে চকরিয়া আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড. লৎফুল কবির বলেন,পর্যটন মৌসুমে হোটেল গুলো কিছুটা দাম বাড়িয়ে রাখছে জাতিয় গণমাধ্যম সহ স্থানীয় সব গণমাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হয়। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটগুলোতে ৫০০ টাকা কাপড় আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এটা দেখার কেউ নেই এবং এটা নিয়ে কোন শিরোনাম হয় না।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-