ছোট চালান বন্ধ, বাড়ছে ইয়াবার বড় চালান!

বার্তা২৪ :

দেশে মাদক চোরাচালান রোধে এক বছর আগে মাদক নির্মূল অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এই অভিযানের ফলে দেশের ভেতরে ছোট ছোট ইয়াবা চালান বন্ধ হলেও বেড়েছে বড় বড় চালান। নিত্য নতুন পন্থায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি পিস ইয়াবা ও ১০/১২ মণ হেরোইন। আত্মসমর্পণ করেছেন ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৩৬০ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। যাদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৭০ জন, র‌্যাবের সঙ্গে ১০৭ জন, বিজিবির সঙ্গে ১২ জন এবং বাকি ৭১ মাদক ব্যবসায়ী নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তবে এলাকা ভিত্তিতে সর্বোচ্চ টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ৯৭ জন।

এরপরও বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবা পাচার। তবে ইয়াবার ছোট চালান বন্ধ হলেও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় চালান আটক করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

রোববার (১৯ মে) একদিনেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রায় তিন লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গত এপ্রিলে কক্সবাজারে ১২ লাখ পিসসহ সারাদেশে ২৫ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি-কোস্টগার্ড ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক মাদক স্পট ঘুরে দেখা গেছে, আগে যে স্পটগুলোতে মাদক বিক্রি হতো সেখানে আর মাদক বিক্রি হচ্ছে না। নিয়মিত অভিযান চলায় মাদক কারবারীরাও আগের মতো গ্রেফতার হচ্ছে না। তবে স্থল, জল ও আকাশ পথে আসছে মাদকের বড় বড় চালান। ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছেন জড়িতরা।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা বড় মাপের ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরও এমন কারবারি রয়েছেন। যাদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা কমে গেছে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ কে বলেন, ‘মাদক এখন আর সহজলভ্য নয়। তবে সব ব্যবসায়ী যে আইনের আওতায় এসেছে, বিষয়টা এমন না। তবে এখন খুবই গোপনে মাদক বেচাকেনা হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এখনো অনেক বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন। যারা এই বড় চালানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে মাদক নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর তৎপরতায় তারাও আইনের আওতায় আসবে বলে জানান তিনি।’

আরও খবর