ডেস্ক রিপোর্ট – কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের সদস্য ও উত্তেজিত জনতা। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের আলোয়ার জেলার হরসৌরা থানা এলাকার দেবনাথ গ্রামে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, গত ১৪ মে ওই কিশোরী তার বাবা এবং মায়ের সঙ্গে দেবনাথ গ্রামে এক আত্মীয়র বিয়েতে অংশ নেন। বিয়ে বাড়িতে অনুষ্ঠানের ফাঁকে অভিযুক্ত রাহুল এবং তার দুই বন্ধু লোকেশ ও রামবীর ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরীর খোঁজে গিয়ে তিন যুবককে ধাওয়া করেন তার আত্মীয়-স্বজনরা। বাকি দু’জন পালিয়ে গেলেও রাহুলকে ধরে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ধর্ষক রাহুল।
পরে খবর পেয়ে হরসৌরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ধর্ষণের ষিকার কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লোকেশ এবং রামবীরকেও আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় গণধর্ষণ এবং হত্যার দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, আলোয়ারের ঠানগাজিতে দলিত এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শনিবার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। গত ২৬ এপ্রিল ওই গৃহবধূর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে তার সামনেই গণধর্ষণ করেছিল পাঁচজন।
অভিযুক্তদের একজন ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপহরণ, মারধর, গণধর্ষণ, হুমকি এবং ডাকাতি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-