কক্সবাজার রুমালিয়ারছড়াস্থ ‘কড়াই ঘরে’ বাহারি ইফতার আয়োজন

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

সারাদিন রোজা রাখার পর স্বাস্থ্য-সম্মত ইফতার রোজাদারদের কাছে খুব প্রিয়। যার জন্য ইফতার আয়োজনে যোগ হয় বিভিন্ন বাহারি ধরণের আইটেম। এ বছর নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত কড়াই ঘরে জমজমাট ইফতারির সমাহার। তবে এবার অন্যান্যদের তুলনায় শহরের রুমালিয়ারছড়াস্থ কক্সাবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পাশের্^ ‘কড়াই ঘর’ ব্যতিক্রম ও বাহারি ইফতার আয়োজন করেছে। নতুন প্রতিষ্ঠানটি বাড়তি ঝামেলা এড়াতে দোকানের ভেতরেই ধুলোমুক্ত পরিবেশে পসরা সাজিয়েছে নানা রকম সুস্বাদু খাবারের। যা দেখলেই নিমিষেই লুপে নিতে ইচ্ছে করে।

শুক্রবার বিকালের দিকে কড়াই ঘরের ইফতার আয়োজনে গিয়ে দেখা যায়, নান্দনিক পরিবেশ। চোখ জুড়ানো ডেকোরেশনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় ক্রেতাদের। দোকানের সামনেই বাহারি হালিমের ঘ্রানে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বিকাল হওয়ার সাথে সাথে এখানে ভীড় বাড়ে ক্রেতাদের। বিক্রয়কর্মীরা আগত ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী অমায়িক সেবা দিয়ে থাকে।

এ বার প্রায় ৫০টি খাবার নিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে কড়াই ঘরে ইফতার মেন্যু। মেন্যুতে রয়েছে, চিকেন ফ্রাই, গ্রিল কোয়াটার, গ্রিল চিকেন হুল, স্পাইচি চিকেন, থাই চিকেন, ফ্রেস ফ্রাই, আলু মসলা, বার্গার সবজি বার্গার, রুল, সেন্ডুইচ, ফুল কপি (স্পেশাল), ফুল কপি, হট কপি রেগুলার, ব্লাক কপি, কেপাই চুনু কপি, কমলা জুস, পেঁপে জুস, আনারস জুস, কলার জুস, তরমুজ জুস, কাঁচা আমের জুস, বেল জুস, গাঁজর জুস, লেবু জুস, ছোলা, হালিম, ফিন্নি, মিষ্টি দানা, আলুর চপ, বেগুনী, পেঁয়াজু, মরিচ্যা ও সবজি। এসব খাবারের দামও স্বাদ ও স্বাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

এখানে ইফতার কিনতে আসা ব্যবসায়ী মো. জসিম ব্যাংকার সাইফুল ও আইনজীবী শওকত বেলাল জানান, বাড়িতে ছোলা, পিয়াজু ও বেগুনী তৈরি করা হয়। এর বাইরে বাকি খাবার এখান থেকে নেয়া হয় প্রতিদিন। এখানকার সব খাবার স্বাদে অতুলনীয় ও স্বাস্থ্যসম্মত। তাই কোন কিছু না ভেবে কড়াই ঘরে চলে আসি।

জানা যায়, নব গঠিত প্রতিষ্ঠানটি খাবার জগতে সুনামের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে কড়াই ঘর। অল্প সময়ে ক্রেতাদের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানটি।

কড়াই ঘরের স্বত্বাধিকারী মিনহাজুল আবেদীন রকি জানান, এ বছর নতুনভাব প্রতিষ্ঠিত হওয়া ‘কড়াই ঘর’ ক্রেতাদের ভালবাসায় অনেকদুর এগিয়ে চলছে। প্রতিদিন বাহারি ধরণের ইফতার আয়োজন হচ্ছে কড়াই ঘরে। ভালবাসার অটুট এই বন্ধন ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর কর্তৃপক্ষ। এমনকি প্রতিদিনই ইফতারের ১ঘন্টা পূর্বেই বিক্রি হয় যায়। ক্রেতাদের চাহিদাকেই আমরা মূল্যায়ন করি অধিক। তাই এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনদিন।

আরও খবর