ঘূর্ণিঝড় বায়ু উখিয়ায় মৌসুমি ফলের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা

কক্সবাজার জার্নাল ডটকম :

ঘূর্ণিঝড় ফনির রেশ কাটঁতে না কাটঁতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে আরও একটি নিম্মচাপ, যার নাম রাখা হয়েছে। জৈষ্ঠ্য মাস বাঙালি জাতির মধুমাস হিসেবে পরিচিত।

আবহাওয়াবিদদের তথ্যমতে বৈশাখ, জৈষ্ঠ্যের মাঝামাজি সময়ে ঘুর্ণিঝড় বায়ু আঘাত হানলে লিচু, আম, কাঠাঁলসহ সব ধরনের ফলজ দ্রব্যের ক্ষতির আশংকা করে অনেকেই জাতীয় ফল কাঠাঁল আগাম বাজারে আনতে শুরু করেছে। তারা বলছে, ঘর্ণিঝড়ে আম, কাঠাঁল ঝড়ে গেলে দাম পাওয়া যাবে না।

উখিয়ার বেশ কয়েকজন বাগানমালিক ও ফল চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ রোগ বালাই না থাকার কারনে আম, কাঠাঁল, লিচু বাম্পাার ফলন হয়েছে।

রাজাপালং হরিণমারা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান তার প্রায় ২৫ একরের মত আম, কাঠাঁলের বাগান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বায়ুর প্রভাব প্রচন্ড তাপদাহে আম, কাঠাঁল পেঁেক যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড় বায়ু আঘাত হানলে মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাজারে হঠাৎ করে আম, লিচু, কাঠাঁলের দেখা পাওয়ার কারনে অনেকেই কেনার জন্য আগ্রহ করলেও মাত্রাতিরিক্ত দাম চাওয়ার কারনে অনেকেই শখ থাকলেও কিনতে পারছে না। তবে অধিকাংশ রোজাদার টাকার চাইতে তার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে অতিরিক্ত দামে আম, কাঠাঁল, লিচু কিনতে দেখা গেছে।

ঘূর্ণিঝড় ফনির আবাস নিয়ে আবহাওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়তে দেখা গেছে। ভ্যাপসা গরমে অকালে কাঠাঁল পেঁকে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে কৃষকেরাও হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা বলছে পাকা কাঠাঁলের চাইতে কাচা কাঠাঁলের দামের অনেক ফারাক রয়েছে।

তথাপিও ঘূর্ণিঝড় বায়ুর শংকা করে বাগানের আম, কাঠাঁল, লিচুর যথাযথ প্রক্রিয়াজাতকরনসহ ক্ষয়ক্ষতি আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় বায়ুর সম্ভাবনায় আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। তবে ফলজদ্রব্যের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

আরও খবর