রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া
উপজেলা পরিষদের বিগত মাসিক সমন্বয় সভায় পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে গৃহীত কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়নি। কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যমূল্যের তালিকা টাঙ্গানো হলেও তালিকায় পণ্যের নাম আছে মূল্য লেখা নেই।
প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিটি নিত্যপণ্য যেমন- মাছ, মাংস, তরি-তরকারি থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যপণ্যের বিপরীতে ৫/১০ টাকা অতিরিক্ত বাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানতে চাইলে পাইকারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রোহিঙ্গার অজুহাত তুলে পার পেয়ে যাওয়ার অভিনব কথাবার্তা বলতে দেখা গেছে।
সিয়াম সাধনার এ মাসে সবচাইতে আকর্ষণীয় চাহিদা পণ্য ইফতারি যত্রতত্র খোলামেলা বিক্রি না করার প্রশাসনের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অতি লোভী এক শ্রেণির মৌসুমী ব্যবসায়ী নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা ইফতারির ফসরা সাজিয়ে বসেছে হাটবাজার ও ষ্টেশনের ফুটপাতে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ, সড়কে চলাচলরত যানবাহনের ধুলোবালি ওই সমস্ত ইফতারি পণ্যে পড়ছে। যেহেতু ইফতারিগুলো ঢেকে রাখা হয়নি।
উখিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, অস্তির পরিবেশ। বাজারের গলির দু’পাশে দোকানগুলো সম্প্রসারণ করে চলাচলের পথ সংকীর্ণ করে তুলেছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম সহ আরো একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলেও কোন প্রকার সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। উপরন্তু, ওইসব ব্যবসায়ীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠার মত পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে রোজাদার ক্রেতা-বিক্রেতা সাধারণের প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে টম টম ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে। যা রমজানে বাজারের পরিবেশকে আরো অসহনীয় তুলেছে দাবী করে স্থানীয় বাসিন্দা কাজী মহি উদ্দিন, হাজী আব্দুল মান্নান সহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বাজারে কোন প্রকার যানবাহন ঢুকতে না দেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা প্রশাসনের বিগত সমন্বয় সভায় পুরনো বাটখারা ব্যবহারের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও বাজারের প্রায়ই ব্যবসায়ীরা ওইসব মান্দাতার আমলের বাটখারা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। বাজারের একজন নিয়মিত ক্রেতা মুহাম্মদ নুরুল হক জানান, পবিত্র রমজানের শুরুতে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে পণ্যের দাম হাঁকছে, তা সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা সরওয়ার আলম শাহীন জানান, এক শ্রেণির পাইকারী ব্যবসায়ী নিত্য পণ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্য মূল্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এমন অভিযোগ এলাকার অধিকাংশ খুচরা ব্যবসায়ীদের।
এ ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ী ও সর্বসাধারণ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ঘন ঘন ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করে ওইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তি বিধানের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিখারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রমজানে কেউ পণ্যমূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়ার বা ভেজাল পণ্য দ্রব্য বিক্রির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-