বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও টিভি টকশো সেলিব্রেটি মাহফুজ উল্লাহ আর নেই। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ব্যাংককের বাম্রুনগাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। (ইন্না লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এসময় মরহুমের স্ত্রী দিনারজাদী বেগম, ছোট মেয়ে ডা. নুসরাত হুমায়রা, ছোট মেয়ে জামাতা মিনহাজুল হক হাসপাতালে ছিলেন। প্রক্রিয়া শেষে রোববার (২৮ এপ্রিল) অথবা সোমবার মরহুমের মরদেহ দেশে আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মরহুমের বড় মেয়ে মুসাররাত হুমায়রা অঙ্গনা।
গত ২ এপ্রিল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির গ্রীন রোডে মাহফুজউল্লাহ তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) মারা যান মাহফুজ উল্লাহ। তিনি হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতি পান।
ছাত্রাবস্থাতেই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি।
মাহফুজ উল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন সক্রিয় পরিবেশবিদ এবং বাংলাদেশে তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন। গত বছর বিএনপি চেয়ারপারসনের ওপর তার লেখা ‘হার লাইফ হার স্টোরি’ বেশ সাড়া ফেলে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-