রোগীকে দেখতে যাওয়া সুন্নত। যে ব্যক্তি রোগীকে দেখতে যায়, ফেরেশতারা তার জন্য সারা দিনমান দোয়া করতে থাকে। হাদিস ও রাসুল (সা.)-এর সিরাতের আলোকে দেখা যায়, অমুসলিম রোগীকে দেখতে যাওয়াও সুন্নাত। প্রিয় নবী (সা.) অমুসলিম রোগীদের দেখতে যেতেন। তাদের সেবা-শুশ্রুষা করতেন এবং তাদের ঈমানের দাওয়াত দিতেন।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ইহুদি এক ছোট বালক রাসুল (সা.)-এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হলে, তখন মহানবী (সা.) তাকে দেখতে যান। তখন তিনি তার মাথার দিকে বসে তাকে বললেন, তুমি ইসলাম গ্রহণ করো! তখন সে তার পিতার দিকে দেখল। পিতা বললেন, তুমি আবুল কাসেমের অনুসরণ করো, ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করলো। তখন রাসুল (সা.) এই বলে বের হলেন, ‘আল্লাহর শোকর, যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস নং: ১২৫৬)
এভাবে তিনি মৃত্যুর সময় তাদের দেখতে যেতেন। তাদের কাছে গিয়ে ইসলামের ও ঈমানের দাওয়াত দিতেন। জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করতেন।
অমুসলিম মৃতদের সম্মান করা সুন্নত
জীবিত অমুসলিমদের যেমন হক রয়েছে, তেমনি অমুসলিম মৃতদেরও হক রয়েছে। তাই তাদের দাফনে সহযোগিতা করা ও মৃতদের সম্মান দেওয়া সুন্নত। এটা ইসলামের সৌন্দর্য-মাধুর্য। কারণ তারা আল্লাহর সৃষ্টি মানবজাতির অন্তর্ভুক্ত।
আবদুর রহমান ইবনে আবি লায়লা থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, সাহল ইবনে হুনাইফ ও কায়েস ইবনে সাদ কাদেসিয়াতে বসা ছিলেন। তখন তাদের পাশ দিয়ে একটি জানাজা নিয়ে কিছু লোক অতিক্রম করলো। তখন তারা দুজন দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন তাদের বলা হলো, ইনি তো কাফের। তখন তারা বলল, মহানবী (সা.)-এর পাশ দিয়ে একসময় এক জানাজা নেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁকে বলা হলো, এটা তো এক ইহুদির জানাজা। তখন তিনি বললেন, তা কি প্রাণী নয় (মানব নয়)?’ (বুখারি, হাদিস নং: ১২১৩)
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-