পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বাজারে বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম!

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

পবিত্র রমজান মাস আসতে ১৫ দিন বাকী। এরই মধ্যে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। রমজান মাস যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ বিভিন্নপণ্যের দাম। সচেতন মহলের দাবি, বাজারে সব ধরণের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতেই থাকবে।

বাজার দ্রব্য মুল্য নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্বিগুন দাম হাকাচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। বাজারে এক ধরণের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম হাকাচ্ছে। বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে, যে যার মতো করে বিভিন্ন শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা।

২২ এপ্রিল (সোমবার) শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বাজারে জিনিস পত্রের দাম একেক রকম। এরই মধ্যে বাজারে বেড়ে গেছে বিভিন্ন রকমের পন্যের দাম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে পিঁয়াজের দাম। বাজারে প্রতি কেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ঢেরশ ৬০ টাকা, শশা ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৩৫ টাকা, শুকনা মরিচ ২২০ টাকা, তিতকরল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পিয়াজ ২৮ টাকা, রশুন ১১০ টাকা, আদা ১১০ টাকা, টমেটো ৪০থেকে ৪৫ টাকা, সয়াবিন তৈল ৯৬ থেকে ১১০ টাকা, চুলা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, চিনি ৫২ টাকা।

বেশ কয়েকজন ক্রেতাদের মতে, প্রতি বছর রমজান মাসের আগেই অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র অতি লাভের আসায় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও তা আস্তে দেখা যাচ্ছে। রোজা শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তারা এবার সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজিতে বাজার ভরে উঠলেও দাম কমছেনা বরং প্রতিদিনই বাড়ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা সবজি বিক্রেতাদের মতে, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তাদের বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে। অন্যদিকে, পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, গেল শিলা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় খেতের সবজি নষ্ট হওয়ায় বাজারজাত কম হচ্ছে। তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৪০/২৫০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের মাছও বেশ চড়া দামে বিকিকিনি হচ্ছে। বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বাজার মনিটরিং করার বিষয়ে দেখার কেউ নেই।

বাজারে তদারকির অভাবেই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো কারসাজি করে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আসন্ন পবিত্র রমজানের আগেই প্রশাসনের প্রতি বাজার মনিটরিংয়ের দাবী জানান ক্রেতারা।

আরও খবর