কক্সবাজারে কোচিং করলে অথবা টাকা দিলেই মেলে প্রশ্ন!

শাহীন মাহমুদ রাসেল :

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম কারণ শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য। এবার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার তিন দিন আগে পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে যায় প্রশ্নের কপি এমনটাই জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।

মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোচিং বা প্রাইভেটের আড়ালে মূলত প্রশ্ন বিক্রি করেন শিক্ষার্থীদের কাছে। আর বিদ্যা অর্জন নয় শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভাল ফলের আশায় তাদের কাছে ছোটেন কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। একের পর এক এই বিদ্যালয়ে মডেল টেষ্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।

এ বিষয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র তারেকের ভাই ছৈয়দ নুর ও একই শ্রেণীর ছাত্র সাহেদের পিতা মোজাফফর আহম্মদ বলেন, যারা প্রাইভেট বা কোচিং করেন তারা প্রশ্ন পায়। আর যারা কোচিং বা প্রাইভেট পড়ছেনা তারা প্রশ্ন পায়না। এমন অভিযোগের সত্যতা মেলে এক শিক্ষার্থীর সাথে ফোনালাপে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার সালেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এইসব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের অবৈধ কোচিং বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হবে। তিনি আরোও বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মেদ শফির সাথে একধিকবার যোগাযোগের করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সচেতন মহল বলছে, এমন অবস্থা মেরুদণ্ডহীন করবে জাতিকে। কোচিং বা প্রাইভেটের প্রতি আকৃষ্ট করতেই প্রশ্ন ফাঁসের মত কাজ করতে দ্বিধা করেননা শিক্ষকরা। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

আরও খবর