দেশব্যাপী জাল নোট ছড়াচ্ছে এই দুই নারী!

চট্টগ্রাম – ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র বিশাল প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।’ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে নগরের স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বপ্না বেগম তানিয়া ও মো. শামীমকে (২১) ১ হাজার টাকার ১৩৫টি নোটসহ (১ লাখ ৩৫ হাজার) গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

পুলিশের দাবি, দেশব্যাপী জাল টাকার বিস্তার ঘটাচ্ছে স্বপ্না বেগম তানিয়া (৩০), ফেরদৌসী বেগমসহ (৫২) একটি শক্তিশালী নারী জালনোট চক্র।

পুলিশ জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য স্বপ্না বেগম, ফেরদৌসী বেগম এবং তাদের সহযোগী শামীমকে আটকের পর এ সব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে জানিয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, চক্রটির শেকড় সারাদেশে বিস্তৃত।

দীর্ঘদিন ধরে তারা জালনোট সরবরাহ ও বাজারজাতের কাজে জড়িত। স্বপ্না বেগম তানিয়ার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত ৩টি এবং ফেরদৌসী বেগমের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায়।

তাদের সিন্ডিকেটে বেশ কয়েকজন নারী রয়েছে, রয়েছে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।-বলেন ওসি মহসীন।

জিজ্ঞাসাবাদে স্বপ্না বেগম তানিয়া পুলিশকে জানান, নোটগুলো তিনি কুমিল্লার ফেরদৌসী বেগম থেকে কিনেছেন।

সে তথ্যমতে, বুধবার ভোরে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ফেরদৌসী বেগমকে কুমিল্লার কোতোয়ালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

তারা তিনজনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-অ (ই) ধারায় কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।

সাধারণ দোকানদারের চোখে ধুলো দিযে ১ হাজার টাকা জাল নোটে কেনাকাটার কাজটি মূলত শামীমই করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

এদিকে, গ্রেফতার ফেরদৌসি বেগম বিরুদ্ধে কুমিল্লার চান্দিনা থানা, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানা, কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানা ও কক্সবাজার সদর থানায় ধারা-২৫-ই এর ১ (ই) ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে প্রাথমিকভাবে ৪টি মামলার খবর পেয়েছি পুলিশ।

এছাড়া স্বপ্না বেগমের বিরুদ্ধে বি-বাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানা, কুমিল্লার বুড়িচং থানা এবং কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানায় একই আইনে ৩টি মামলার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

আরও খবর