পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও নবী রাসুলদের গালাগাল করে একি করলেন সেফুদা

অনলাইন ডেস্ক – সেফায়েত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। একটি আলোচিত নাম। মূলত ফেসবুকে অশলীন ভাষা ব্যবহার করে আলোচনায় আসেন তিনি। সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী__বেগম খালেদা জিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-সহ মিডিয়া পার্সন, কাউকে বাদ রাখেননি অশালীন বাক্যব্যয় থেকে। ফেসবুক লাইভে এসে নিজে মদ পান করা ও তরুণ-তরুণীদের নেশা করার আহ্বান করা মানুষরূপী অদ্ভূত এক প্রাণীতে রূপ নেয় এই সেফুদা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারও রেহাই পায়নি— সেফুদার অকথ্য ভাষা থেকে।

এক সময় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চললেও পরে জানা যায়, তার মাথায় সমস্যা। তিনি মানসিক রোগী। অবশ্য সমস্যার কথা তার পরিবার থেকে জানানো হয়। তার পরিবারও বিরক্ত ও লজ্জিত এই লোকের ব্যবহারে৷ তার স্ত্রীকে একটি সাক্ষাৎকারে বলতে দেখা যায়— তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না তার পশুসূলভ আচরণের কারণে। তবে কোনোকিছুতেই থামেনি সেফুর অশালীন বাক্য ব্যবহার ও গালাগালী।

সীমালঙ্ঘণ করতে করতে অপরাধের মহাজগতে আরোহণ করেছে এই লোক। শেষ পর্যন্ত পবিত্র কোরআন ও মক্কা-মদিনা নিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এই মাতাল সেফুদা। একটি ভিডিওতে পবিত্র কোরআনের চরম অবমাননা করতে দেখা যায় তাকে। সোশসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে দেখা যায়— ক্রধ ও গালাগালির সঙ্গে পবিত্র কোরআনের পাতা ছিড়ে টয়লেটের কমোডে ছুড়ে ফেলছে! একইসঙ্গে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র মক্কা-মদিনা নিয়েও মাত্রাতিরিক্ত অবমাননাকর মন্তব্য করেছে।

সাফা কবিরের পরকাল নিয়ে করা “আমি যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না” মন্তব্যের সূত্র ধরে লাইভে আসে গালিবাজ সেফু। সাফা কবিরকে সাহসী আখ্যা দিয়ে ধন্যবাদ জানায় সে এবং সাফা কবির যা বলেছে তা সঠিক বলে মন্তব্য করে সে। লাইভের এক পর্যায়ে মুসলমানদের গালিগালাজ শুরু করে এবং পবিত্র কোরআন হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা ছিড়ে বাথরুমের কমোডে ফেলে দেয়।

তার এহেন কর্মকাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ক্ষোভের ঝড়। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল গঠনের মাধ্যমে তাকে দেশে এনে সরকারের কাছে ফাঁসির দাবি জানিয়েছে প্রতিবাদকারীরা।

বুধবার সাড়ে সাতটার দিকে তিনি লাইভে এসে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন কে অপমান ও অবজ্ঞা করে কথা বলেছেন, কাবা গৃহ সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন। তিনি নিজ হাতে আল কোর আন কে নিয়ে তার জুতা দ্বারা আঘাত করেছেন এবং আল কুরআনের পেজ ছিড়ে নিয়ে তা ফেলে দিয়েছেন, এমনকি তার বাসার কমোডে তিনি আল-কোরআনকে ফেলে দিয়ে বলেছেন তিনি এটিকে বিশ্বাস করেন না।

শুধু এটাই নয় এর আগেও নানা বিষয়ে কথা বলে বিতর্কিত হয়ে রয়েছেন সিফাত উল্লাহ চৌধুরী ওরফে সেফুদা। কিন্তু এবারে প্রথম তিনি তার ধর্মগ্রন্থ তথা আল কোরআনকে অবমাননা করে একজন নাস্তিক হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে দাবি করা হয়েছিল সেফাতুল্লা একজন মানসিক রোগী। পরিবার তার সুচিকিৎসার জন্য চেষ্টা করছে।

আরও খবর