কক্সবাজারের সাবেক ডিসিসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

ডেস্ক রিপোর্ট – মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিংড়ি খাতের প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) রুহুল আমিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

জানা যায়, ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন তারা।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আসামিরা হলেন-কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) রুহুল আমিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলম, সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার টিএম বাদশা মিয়া, এলএ শাখার কর্মচারী মো. আবুল কাশেম মজুমদার, কানুনগো মো. আবদুল কাদের ভুঁইয়া, এ চক্রের মূল হোতা রফিকুল ইসলাম, মো. জমির উদ্দিন, জিএম ছমিউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, রিদোয়ান, আশরাফ আলী, মো. সেলিম উদ্দিন, মো. হারুন, মো. দানু মিয়া, মীর কাশেম, মো. সেলিম, এরফান, ছখি আলম, মহিবুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, আহসান উল্লাহ বাচ্চু, অ্যাডভোকেট নূর মোহাম্মদ সিকদার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আবুল বশর, মো. রুহুল আমীন, সালেহ আহমদ সামাদ, এস্তেকাজুল হক, বশির আহমদ, মো. মশিউর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, আশরাফ আলী, মো. আনিস, নূরুল আবছার, মো. ইলিয়াছ রহমান, মো. রাজীবুল আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিংড়ি খাতের প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিন ও এডিসি জাফর আলমসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিংড়ি খাতের ক্ষতিপূরণ প্রকল্পে ভুয়া লোকজনের নামে প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রুহুল আমিন, জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা দায়ের হয়। পরে তদন্ত শেষে সাবেক ডিসি রুহুল আমিন ও এডিসি জাফর আলমসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

জানা যায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ছিলেন রুহুল আমিন। ওই সময় মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মহেশখালী উপজেলায় ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পে তখন ২৫টি ভুয়া চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। ২০টি চেকের মাধ্যমে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও ৫টি চেকের মাধ্যমে ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন তারা।

আরও খবর