রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দূষিত বৈর্জ্য ; বর্ষায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে উখিয়ার আড়াই লক্ষ মানুষ

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের দুষিত বৈর্জ্য রাখার সু-নিদিষ্ট কোন পাত্র বা স্থান নির্ধারন এর ব্যবস্থা না থাকায় অশিক্ষায় কুশিক্ষায় বেড়ে ওঠা এসব রোহিঙ্গারা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করছে। শুষ্ক মৌসুমে এসব বৈর্জের প্রতিক্রিয়া আচঁ করা না গেলেও আসন্ন বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুষিত বৈর্জ্য নিয়ে আগাম আতঙ্কে রয়েছে উখিয়ার আড়াই লক্ষ মানুষ।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ বর্ষার পূর্বে রোহিঙ্গাদের এসব দূষিত বৈর্জ্য মাটির গর্তে পুতে ফেলা বা আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলা না হলে পানিবাহিত নানা প্রকার রোগ বালাই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।

কুতুপালং ও থাইংখালী তাজনিমার খোলা ক্যাম্পের কয়েকটি অলিগলি ঘুরে স্থানীয় রাজনীতিবিদ এম.এ মনজুরের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, প্রতি বর্ষায় পালংখালী ইউনিয়নের দুই তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। সামনের বর্ষায় আরো বেশি এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে। রোহিঙ্গা স্থাপনা ও অবৈধ ভোগ দখলের কারনে। দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতায় রোহিঙ্গাদের দূষিত বৈর্জ্য মিশ্রিত পানিবাহিত রোগ মহামারী আকার ধারন করতে পারে। যদি এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের এসব বৈর্জ্য বর্ষার আগেই ডাম্পিং বা মাটির গর্তে পুতে না ফেলে। কক্সবাজারের সাংবাদিক গবেষক ও পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎসেন রোহিঙ্গাদের বৈর্জ্য স্থানীয়দের জন্য মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টির পানির সাথে এসব দুষিত বৈর্জ্য পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশংকা রয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়াম্যান ও পরিবেশবাদী মোজাফ্ফর আহম্মদ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মলমূত্র ও দুষিত ময়লা আবর্জনা আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওদের এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মান্নান তার প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, এনজিও সংস্থাগুলোর নৈতিক দায়িত্ব, ক্যাম্পের ময়লা আবর্জনা থেকে রোগ ছড়িয়ে না পড়ার আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করে জররী ভিত্তিতে এসব ময়লা আবর্জনা থেকে রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা করা।

এ ব্যাপারে বালুখালী ক্যাম্প-৯ এর ক্যাম্প ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আগামী সমন্বয় সভায় এনজিওদের এ ব্যাপারে সর্তক করে দেওয়া হবে যাতে বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিষাক্ত বৈর্জ্যরে ব্যাপারে সুনিদ্বিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহন করে।

আরও খবর