চট্টগ্রাম – চট্টগ্রাম বন্দরে এক বিদেশি নাগরিকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পৃথক পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তন্মধ্যে গুলিতে হত্যা ও গাড়ি চাপায় মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে এক হাজতিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ের দায়ের করা মাদক মামলার আসামি নুরুল হক (৭৫) নামের ওই হাজতির মৃত্যু হয়। তিনি জামালগঞ্জ জেলার বকশিগঞ্জের আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে। হাজতি হার্ট ও শ্বাসকষ্টের কারণের অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরের গভীর সমুদ্রে একটি জাহাজে রাশিয়ার নাগরিক নাবিক প্রকারভ বলাডামির (৪৬) মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ৩টায় চমেক হাসপাতাল ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রুত বড়ুয়া। তিনি বলেন, রোববার সকালে জাহাজের মাস্টার মোবাইলে কল দেওয়ার পর সাড়া না পাওয়ায় রুমে গিয়ে দেখেন মেঝেতে পড়ে আছেন তিনি। পরে কোস্টগার্ডকে জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে সোমবার দুপুর ৩টার দিকে বন্দর অ্যাম্বুলেন্স করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত মদ পান করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পৃথক ঘটনায় নগরীর চান্দগাঁওয়ের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় জিসান উদ্দিন রায়হান (৮) নামের এক স্কুলছাত্র মারা গেছে। রায়হান চান্দগাঁওয়ে কালামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ভোমরা ডাক্তার বাড়ির জসিম উদ্দীনের ছেলে। কালুরঘাটগামী একটি বাস সাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে জিসান পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
অপর দিকে, বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ ডাকাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আবুল কালাম (৪০) নামের একব্যক্তি খুন হয়েছেন।
নিহত আবুল কালাম দক্ষিণ সরল এলাকার আব্দুস সোবহান মিয়াজীরপাড়ার মৃত মাস্টার কবির আহমদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে লবনের মাঠ ও চিংড়ির ঘের দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জাফর মেম্বার গ্রুপ ও মোনাফ গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে আবুল কালাম ঘটনাস্থলে মারা যায়।
উল্লেখ্য, সরল ইউনিয়নে লবনের মাঠ, চিংড়ি ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল স্থানীয় মেম্বার জাফর গ্রুপ ও মোনাফ গ্রুপের মধ্যে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-