চট্টগ্রাম – চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় যাত্রীবেশে প্রাইভেটকারে উঠে চালককে হত্যার পর লাশ সাগরে ফেলে দিতে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিনগত রাতে আকবরশাহ থানাধীন কাট্টলী সড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আকবরশাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিবুর রহমান বলেন, এক ব্যক্তিকে হত্যার পর প্রাইভেটকারে করে সমুদ্রে মরদেহ ফেলে দিতে নিয়ে যাচ্ছিল চারজন। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধারের পাশাপাশি দুজনকে আটক করা হয়।
নিহত চালকের বয়স আনুমানিক ৩০/৩৫ বছর। তবে পুলিশ তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি জানিয়ে আকবর শাহ থানার ওসি জসীম উদ্দিনবলেন, জনতার পিটুনিতে আহত দুই যুবকের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের আরেক সঙ্গী পালিয়ে গেছে।
গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে একজনের নাম মীর হোসেন নিশান, বয়স ২১ বছর। তিনি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
ওসি জানান, তিন যুবক একটি প্রাইভেট কার নিয়ে ঘোষবাড়ি হয়ে কাট্টলী বেড়ি বাঁধের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়লে স্থানীয় লোকজন সহায়তা করতে এগিয়ে যায়। কিন্তু গাড়িতে লাশ দেখে তাদের সন্দেহ হয়।
ওই গাড়ির আরোহীরা তখন পালানোর চেষ্টা করলে জনতা দুইজনকে ধরে ফেলে পিটুনি দেয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তবে আরেকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় জানান ওসি।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “তারা তিনজন সীতাকুণ্ড থেকে প্রাইভেট কারটি ভাড়া করে চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছিল। পথে তারা শ্বাসরোধ করে চালককে হত্যা করে। পরে চালকের লাশ পেছনের সিটের নিচে রেখে গাড়ি চালিয়ে শহরে ঢোকে। তারা লাশটি সমুদ্রে ফেলে দিতে যাচ্ছিল বলে আমাদের ধারণা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-