গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অহংকার কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এখনো সময় আছে আত্মসমর্পণ করুন, নইলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন।
১২ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে টেকনাফ পৌরসভার বাস ষ্টেশন চত্বরে জেলা পুলিশের বিশাল উদ্যোগে মাদক, সন্ত্রাস, অর্থ ও মানব পাচারে বিরোধী এক সচেতনতা মুলক সভায় তিনি উপরোক্ত এই কথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন। চোর দশদিন চুরি করবে কিন্তু একদিন ঠিকই ধরা পড়বেন। মাল আনবেন, আলিশান বাড়ি করবেন ঠিকই একদিন ধরা পড়বেন। কাজেই আপনি যতই কৌশলে ইয়াবার কারবার চালিয়ে যান না কেন একদিন না একদিন আপনি আইনের হাতে ধরা পড়বেনই। এই ম্যাসেজটা অন্যদের পৌঁছে দেবার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।
তিনি ইয়াবা কারবারীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য টেকনাফ বাসীর প্রতি আহবান জানান।
তবে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যেন কেউ কাউকে ইয়াবা কারবারী বানানোর চেষ্টা না করেন।
উপস্থিত দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটিতে কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী থাকলে তাদের তথ্য দিন তাদেরকে টেনে নামানোর ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া কোন চেয়ারম্যান-মেম্বার জনপ্রতিনিধিত্বের দোহাই দিয়ে যদি ইয়াবা ব্যবসা করেন তাহলে তাদেরও রেহাই নেই বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।
তিনি বলেন,৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর চিহ্নিত রাজাকারদের মুখে যেমন থু থু ছিটিয়ে দিয়েছেন ঠিক একই ভাবে ইয়াবা কারবারে জড়িত ব্যাক্তিদের মুখে থু থু দিয়ে তাদেরকে সমাজ থেকে সামাজিক ভাবে বয়কট করুন।
জাতির বিবেক সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেশীরভাগ সংবাদকর্মী ভাল কাজ করছেন, ইয়াবা ব্যবসা বন্ধে কাজ করছেন, তবে দুয়েকজন আছেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ব্যক্তিস্বার্থ চরিত্রার্ত করার জন্য অনেক ভদ্র লোককে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা সমাজের চোখ আপনাদের কলম দিয়ে যেন কোন নিরীহ লোক হয়রানী না হয়। তাই আপনারা লিখার সময় যাচাই বাছাই করে লিখবেন।
ইয়াবা কারবারে জড়িত রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার আহবান জানান তিনি।
যে কোন মূল্যে টেকনাফকে কলংকমুক্ত করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আমি টেকনাফে থাকি, টেকনাফের ভাত খাই, তাই আমি ইয়াবা মুক্ত নি:শ্বাস নিতে চাই যারা এই মাদক বিরোধী অভিযানকে বাঁধা গ্রস্ত করবে আমি তাদের নি:শ্বাস বন্ধ করে দেব। সভাটি সফল করায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শফিক মিয়া বলেন, প্রায় ৭০ ভাগ ইয়াবা নির্মূল হয়েছে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করলে বাকি ৩০ ভাগ ইয়াবাও নির্মূূল করা সম্ভব হবে। আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়াকে সফল করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, যদি ভুলে নিরীহ কারো নাম ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় উঠে থাকে তবে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তাদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আহবান জানান।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য মো.শফিক মিয়া, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, কমিউনিটি পুলিশ সভাপতি নুরুল হুদা, টেকনাফ জামেয়া মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি কিফায়ুতুল্লাহ শফিক, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ আরো অনেক গর্নমান্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গরা উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-