শফিক আজাদ, উখিয়া :
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ক্যাম্পের একটি স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে । বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা কিনছে কিনছে মরনাস্ত্র। নিয়ন্ত্রন করছে উখিয়া-টেকনাফের বেশকিছু রোহিঙ্গাদেরকে ।
আবার এই সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যা করছে নিজের জাতভাই ও মুসলমানদের। এছাড়া এসব সন্ত্রাসীরা বিনা কারনে হামলা করছে দেশি বিদেশি সাংবাদিক , এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরসহ সাধারণ মানুষকে।
জানা গেছে, স¤প্রতি একটি স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে তোলপাড় শুরু হয় সর্বত্রে। ফেইসবুক ব্যবহারকারী ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি কেউ। যদিওবা কেউ কেই বলছেন এটি তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের অদূরে লন্ডাখালী গহীণ অরণ্য সেখানে জঙ্গি আস্তানা গড়ে ছিল এক সময় হরকাতুল মোজাহিদেরা। আবার কেউ কেউ বলছেন এটি নৌকার মাঠ নামক এলাকায় তোলা ছবি।
যেখানে গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা দু’গ্রুপের মধ্যে চাঁদাবাজী ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে বেশ কিছু রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আল ইয়াকিন নেতা মোঃ ইউনুছ, নবী হোসন বাহিনীর হাতে লাঞ্চিত হয় ক্যাম্প ইনচার্জ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
গতকাল বুধবার ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবির স্বশস্ত্র রোহিঙ্গাদের নাম ঠিকানাও কেউ সঠিক করে বলতে পারেনি।
নিরাপত্তা জনিত কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক রোহিঙ্গা নেতা জানান, উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে আছে এই ধরনের শতাধিক গ্রুপ। তাদের হাতে আছে শতশত অস্ত্র।
উখিয়া প্রেসক্লাবে সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন উদ্বেগ প্রকাশ করে তার ফেইসবুক স্টাটাসে বলেন, নিরাপত্তা চাই আমরা!
এটি একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ । মানবতার টাকা দিয়ে তারা কিনছে মরনাস্ত্র। নিয়ন্ত্রন করছে উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। হত্যা করছে নিজের জাতভাই ও মুসলমানদের। হামলা করছে দেশি বিদেশি সাংবাদিক,এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর।
সরকার, প্রশাসন বা মানবতার কর্মীদের কাছে অনুরোধ আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরা নিরাপত্তা চাই! এভাবে আরো অনেকে তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা বিষয়ে মত প্রকাশ করে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার কথা তুলে ধরেন।
এ নিয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দমনে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়া ক্যাম্পে ৬টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে শুধুমাত্র রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণের জন্য।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-