গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ
হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের উৎকোচ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি ও ভোটের রাজনীতির কথা দীর্ঘদিনের।
এবার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে চাল বিতরণের সময় সাধারণ ভূক্তভোগীরাই স্থানীয় সাংসদ, ইউএনও এবং চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এক মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ তুললেন। তদন্ত স্বাপেক্ষে এই জাতীয় ঘটনায় জড়িত জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনার দাবী উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরণ করছিলেন স্থানীয় সাংসদ শাহীন আক্তার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান ও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীসহ মেম্বার, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারগণ। উক্ত ইউনিয়নের বেশ ক’জন মেম্বার-মহিলা মেম্বার এই ভিজিডি কার্ড বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ তোলেন।
চাল নিতে আসা কয়েকজন মহিলা অত্র ইউনিয়নের (৩,৫,৬) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার লালমতি বেগমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, ভিজিডি চাউল নিতে আসা মহিলারা উপস্থিত সবার সামনে অভিযোগ করেছেন টাকার বিনিময়ে মহিলা মেম্বার “লাল মতি” ভিজিডি কার্ড বিতরণ করছেন।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে,টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হাসান বলেন, সরকারের বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাল নিতে আসা অভিযোগকারীদের একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপকর্মে জড়িত ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এলাকার সুশীল সমাজের ব্যাক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন,গরীব মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্ধকৃত চাউল বিতরন করার এই মহতি কর্মকান্ডকে পুঁজি করে অনেক অসাধু জনপ্রতিনিধি তাদের পকেট ভারী করার জন্য অসহায় মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। পাশাপাশি ভিলেজ পলিটিক্স এবং ভোটের রাজনীতি দোহাই দিয়ে নিজ এলাকার গরীব,দুঃখী অসহায় জনগনকে জিম্মী করে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে। এলাকাবাসীর দাবী অবিলম্বে চাউল বিতরনে অনিয়মকারী অভিযুক্ত মহিলা মেম্বারসহ জড়িত অপরাধীদেরকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তি প্রদান করার অনুরোধ জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-