গিয়াস উদ্দিন ভূলু,টেকনাফ
টেকনাফ আইন-শৃংখলা বাহীনির চলমান অভিযানের মধ্যেও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কতিপয় মাদক কারবারীদের অপকর্ম এখনো অব্যাহত রয়েছে। তারা এখনো প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে মাদক পাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা সু-কৌশলে অত্র এলাকার অসহায় ও অভাবী মানুষ গুলোকে বেশী টাকার লোভে দেখিয়ে তাদের মাদকের বাহক হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তারেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে গতকাল রাত ৯টার দিকে মামা-ভাগিনা সিন্ডিকেটের ইয়াবা চোরাচালানের হিসেব ও অবৈধ পথে ইনকামের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টায় উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালীর নাছর পাড়ায় ইয়াবার টাকার হিসেব ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মৃত হাজী অলি আহমদের পুত্র হাজী শামসুল আমিন (৪৮) এবং ভাগিনা ফকির মোহাম্মদের পুত্র মোঃ আলমগীর (৩০) এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মামা শামসুল আমিনের ঘুষিতে ভাগিনা আলমগীর অজ্ঞান হয়ে মাঠিতে পড়ে যায়। পরে আত্নীয়-স্বজন ও উপস্থিত লোকজন আলমগীরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হয়।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ফাঁস হয়ে পড়ায় চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যে তাদের এই ধরনের অপতৎপরতা জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মাদক সংশ্লিষ্ট এই ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেন। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহেদ হোছাইন অভিমতপ্রকাশ করে বলেন, অত্র এলাকার সচেতন ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। তারা মামা-ভাগীনা দীর্ঘদিন ধরে মরণনেশা মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অবশেষে ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মাদকের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে।
কারণ মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের এত কঠোর হওয়ার পরও অত্র এলাকায় মাদক সংশ্লিষ্ট এই জাতীয় ঘটনা সৃষ্টি হওয়া খুবই দুঃখজনক। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়,হোয়াইক্যং পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার বাঁচা মিয়ার ছেলে আমির হোছন হতে আলমগীর ইয়াবা কিনে মামা শামসুল আমিনকে সরবরাহ করে। এছাড়া হোয়াইক্যং নয়াবাজারের অলি হোছনের পুত্র হামিদ হোছন হতে শামসুল আমিন ইয়াবা সংগ্রহ করে থাকে। এসব ইয়াবার চালান ঐ গ্রামের দুই ব্যক্তির মাধ্যমে টমটম ও সিএনজিতে করে কক্সবাজার পৌঁছায়। সেখান হতে ক্রেতাদের সরবরাহ করা হয় এসব ইয়াবার চালান।
এই ব্যাপারে হাজী শামসুল আমিনের মুঠোফোন (০১৮৪৯-১৬৫৮৪৩) নিকট জানতে চাইলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হামলার শিকার হওয়া আলমগীরের নিকট (০১৮৭৬-৭২১৭১০ ; ০১৮৭৬-৫৩২৬৮৫) এই বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে সংঘটিত ঘটনার বিষয়টি জানতে চাইলে সে হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং এই জাতীয় কোন ঘটনা ঘটেনি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। সাধারণ মানুষের মতো জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এবং সে নিজেকে ভাল মানুষ হিসেবে দাবী করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-