ডেস্ক রিপোর্ট- পাচারকারীদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে এখনও অন্তত ২০০ রোহিঙ্গা সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া। সোমবার সকালে দেশটির উপকূল থেকে ৩৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করার পর এই কথা জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার বিরোধী অভিযানের পর মিয়ানমার বা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে নৌকায় করে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার ঘটনা কমে গিয়েছিল। তবে বিগত কয়েক মাসে মালয়েশিয়া যেতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে নৌকায় চড়ে বসছেন অনেকে। গত মাসে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ পারলিসের সানগাই বেলাতি সৈকত থেকে ৩৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়।
মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বলেন, তারা বেশ কয়েকটি নৌকার সন্ধান করছেন। এগুলোতে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান নুর মুশার বলেন, এখন পর্যন্ত ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪১ রোহিঙ্গা পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের জলসীমায় কাউকে পাই তবে তাকে সৈকতে নিয়ে আসবো। তবে তারা বাংলাদেশ না মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি তিনি।
গত মাসে একই স্থান থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছিলো। নুর মুসার বলেন, নৌকাগুলো কোথা থেকে এসেছে তা আমরা এখনও তদন্ত করে দেখছি। তবে আমাদের সন্দেহ এর সঙ্গে মানবপাচারকারীরা জড়িত রয়েছে।
২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। দীর্ঘদিন বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেয় না মিয়ানমার। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বিবেচনা করা হয় তাদের।
২০১২ সালে রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গাদের এই ঢল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ২০১৫ সালে। ওই বছর প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা আন্দামান সমুদ্র পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তাদের অনেকেই সাগরে ডুবে প্রাণ হারায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-