এনজিও’র গাড়ি আটকে দিলেন উখিয়ার ইউএনও

শাহেদ মিজান :

এইচএসসি-দাখিল এবং সমমান পরীক্ষা চলাকালে গাড়ি চলাচল না করতে নির্দেশ দেয়ার পরও তা মানছে না এনজিও সংস্থা গুলো। তাই শেষ পর্যন্ত রাস্তায় নেমে নিজেই এনজিও সংস্থার গাড়িগুলো আটকে দিলেন উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিকারুজ্জামান চৌধুরী। আজ সোমবার সকাল পরীক্ষার শুরু প্রাক্কালে দৃশ্য দেখা যায়।

জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থাগুলোর গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে চলমান এইচএসসি-দাখিল এবং সমমান পরীক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা। এর ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সকাল ৯-১০টা পর্যন্ত এনজিও’র গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে সর্বমহল থেকে দাবি জানানো হয়। এই দাবি মতে নিকারুজ্জামান চৌধুরী মৌখিকভাবে এনজিও সংস্থাগুলোকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাড়ি চলাচল না করতে নির্দেশ দেন। তারপরও নির্দেশ মানছে না তারা। এর প্রেক্ষিতে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) নিজেই রাস্তায় নেমে চলাচল করা এনজিও সংস্থার গাড়ি আটকে দিলেন ইউএনও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার পরে ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী উখিয়া সদর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে রাস্তায় অবস্থান করেন। এসময় তিনি নিজেই চলাচল করা এনজিও’র গাড়িগুলো আটকে দেন। একই সাথে নির্দেশ না মানায় এনজিও কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনা করেন। তিনি প্রায় আধা ঘন্টা সড়কে অবস্থান করে গাড়িগুলো আটকান। আটকানো গাড়িগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে পাকিং করে রাখেন। ইউএনও’র এই ভূমিকায় সর্বস্তরের মানুষ তাঁর ব্যাপক প্রশংসা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় এনজিও’র গাড়িগুলো চলাচল করে। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। যানজটে পড়ে পরীক্ষার্থীরা যথা সময়ে কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘœ হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে ওই সময়ে গাড়ি চলাচল না করতে এনজিও’র সংস্থাগুলো নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা নির্দেশ না মেনে গাড়ি চলাচল অব্যাহত রাখে। তাই নিজেই নেমে গাড়িগুলো আটকে দিয়েছি। সামনের পরীক্ষার দিনে এমনটি করা হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছি।

আরও খবর