দুনিয়াতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা দুনিয়াকে ভালোবাসে এবং পরকালকে অবহেলা করে। ফলে সে দুনিয়া ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে দুনিয়াকেও ভালোবাসতে হবে, এ ভালোবাসা হবে পরকালের সফলতার জন্য।
দুনিয়ার সময়কে গুরুত্ব দিয়ে ভালোবাসার সঙ্গে আল্লাহর বিধান পালন করতে হবে। কেননা দুনিয়া হচ্ছে পরকালের সফলতা লাভের কর্মক্ষেত্র।
যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা দুনিয়ার সব সুযোগ-সুবিধাকে পরকালের সফলতা লাভের জন্যই ব্যবহার করে। কেননা মুমিনের কাছে পরকাল অপেক্ষা উত্তম কোনা কোনো কিছুই হতে পারে না।
যে সব মুমিন বান্দা পরকালের সফলতা লাভে দুনিয়াকে ভালোবাসে এবং দুনিয়াতে আল্লাহর দেয়া বিধান যথাযথ বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করে তারা ৭ শ্রেণিতে বিভক্ত। সেই ৭ শ্রেণির লোকেরা হলেন-
> যারা গুরুত্বর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে।
> যারা কোনো কাজে অন্যের প্রতি প্রচণ্ড রাগের সময়ও তাকে ক্ষমা করে দেয়।
> যারা আল্লাহর নির্দেশ ও আহ্বানে সাড়া দেয়।
> যারা আল্লাহর নির্দেশতি পন্থায় নামাজ প্রতিষ্ঠা করে।
> যারা যে কোনো কাজ নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে সম্পাদন করে।
> যারা আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে তার পথে ব্যয় করে।
> যারা কারো দ্বারা জুলুম বা অত্যাচারের শিকার হলে
– হয় সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে নতুবা
– প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেয় অথবা
– অত্যাচারের পরিমাণ অনুযায়ী আপোশ-মীমাংশায় সম্মত হয়।
আল্লাহ তাআলা উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো মুমিন বান্দার গুণ। যা সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভেই সম্পাদন করে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আল্লাহর কাছে তাদের জন্য যা আছে তা সর্বোত্তম ও স্থায়ী, যারা মারাত্মক পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে, রাগ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা করে, প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে কর্ম সম্পাদন করে, তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে, অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও আপোষ নিষ্পত্তি করে- আল্লাহর কাছে তার পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৩৬-৪০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের নির্দেশের আলোকে উল্লেখিত গুণগুলো নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। পরকালের স্থায়ী ও সর্বোত্তম পুরস্কার মহা সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-