গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ
টেকনাফ উপকুল ফাঁড়ি দিয়ে আবারও অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার অপচেষ্টা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মানব পাচারে জড়িত দালাল চক্রের সদস্যরা তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার জন্য ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এবার টার্গেট করছে শরনার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত অসহায় রোহিঙ্গাদেরকে। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ যুবতী মেয়ে রয়েছে।
তথ্য সূত্রে খবর পাওয়া যায়, দালাল চক্রের সহযোগীতায় রোহিঙ্গারা কম টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে সাগরপথ দিয়ে মালয়েশিয়া ফাঁড়ি দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে তাদের অপকর্ম রুখে দেওয়ার জন্য টেকনাফ উপজেলায় দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১শ ১৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, ৫ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টারদিকে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহারছড়া-হোয়াইক্যং পাহাড়ী ঢালাপথের বাহারছড়া পয়েন্ট হতে ৩৯ জন নারী, ৫০ জন পুরুষ ও ২৬ জন শিশুসহ ১শ ১৫ জন মালয়েশিয়াগামী ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এসময় কোন দালালকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটককৃতরা কচ্ছপিয়া ঘাট দিয়ে মালয়েশিয়া ফাঁড়ি দেওয়ার জন্য ফিশিং ট্রলার যোগে শীপে উঠার কথা ছিল। আটককৃতরা সবাই রোহিঙ্গা।
তারা উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় গড়ে উঠা দমদমিয়া, জাদিমোরা, শালবাগান, নয়াপাড়া, মোচনী, লেদা, আলীখালী, ঊনছিপ্রাং, শামলাপুর, পালংখালী এবং থাইংখালী ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-