লোকমুখে শোনা যায় এবং অনেক জায়গায় প্রচলন আছে, মৃত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার বার কালেমা তাইয়্যিবা পড়ে বিশেষ দোয়া করার। মনে করা হয়, এর দ্বারা মৃত ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবেন। অনেকে জীবদ্দাশায় এ জন্য ৭০ হাজার বার কালেমা পড়েন। তবে কেউ মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ হওয়ার জন্য তার জানাজার আগে এভাবে কালেমা তাইয়্যিবা পড়ার রেওয়াজ বেশি। যদিও এ আমল সম্পর্কে কোনো দলিল-প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এ আমলটি লোকমুখে প্রচলিত একটি কথা। যার কোনো ভিত্তি ইসলামি শরিয়তে নেই।
শায়েখ ইবনে তাইমিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি সহিহ বা জয়িফ (দুর্বল) কোনো সনদেই বর্ণিত নেই।’ -মাজমাউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া: ২৪/৩২৩
তবে এটা ঠিক যে, কালেমা তাইয়্যিবা পাঠ করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ এবং হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী এটি উত্তম জিকির। একাধিক হাদিসে এ কালেমা পাঠের বহু ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ইখলাসের সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে সে জান্নাতে যাবে।’ -মুসনাদে আহমাদ: ১৯৬৮৯
তাই নিজে কালেমা তাইয়্যিবা পাঠ করা কিংবা কোনো মৃত ব্যক্তির ঈসালে সওয়াবের জন্য পাঠ করা ভালো কাজ। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা ও পদ্ধতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, তাই এ পদ্ধতি বর্জনীয়।
ইসলামের নির্দেশনা হলো, মৃত ব্যক্তির মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা এবং বিভিন্ন নফল ইবাদত যেমন-দান-সদকা, তাসবিহ-তাহলিল, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি করে তার সওয়াব মৃতকে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। যা হাদিস শরিফের বহু দলিল দ্বারা প্রমাণিত। এসব ব্যক্তিগত আমল। কোনো দিন-তারিখ ও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই যখন ইচ্ছা তখনই এ আমল করা যায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-