আব্দুল হামিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি
নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে মৃত গরুর মাংস সহ আটক চার কসাইকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে দশটার দিকে এসব কসাইকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। তবে বুধবার রাতে তাদের আটক করলেও রাতভর দরকষাকষি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক একেএম হাবিবুল ইসলাম বলেন- মাংস গুলো মৃত গরুর বলে কোন ধরনের প্রমান পাওয়া যায়নি। তাই আটক ব্যক্তিদের বাইশারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুল আজিমের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।
আটককৃত কসাই হলো- বাইশারী বাজার বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক আলাউদ্দিন, কসাই নুরুল হক প্রকাশ লেনসু, শাহ আলম ও আবু তাহের। এসব কসাইদের কোন প্রকার লাইসেন্স না থাকলেও বাজারে কসাইয়ের কাজ করে আসছে র্দীর্ঘদিন। ফলে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী বাইশারী বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ ইসহাক জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটক ব্যক্তিরা বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে মেরাজর ফাতেহা উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের ঈদগাঁও থেকে গাড়ী যোগে ২৫ কেজি বস্তাভর্তি মাংস নিয়ে বাইশারী বাজারের ব্যবসায়ী ও কসাই আলাউদ্দিনের দোকানে নিয়ে আসে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যবসায়ীরা বস্তা খুলতেই বাঁসি মাংস দেখে তা মৃত মাংস বলে প্রচার করে। এতে ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় জনতা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কসাইদের উপর। অবস্থা বেগতিক দেখে এসব কসাইদের আটক করে বাইশারী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কসাইরা নিয়ম বর্হিভূত ভাবে লাইসেন্স বিহিন মাংস বেচা কিনা করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ডাক্তারী ছাড়পত্র না নিয়ে প্রতিদিন রোগা ও নিষিদ্ধ পশু জবাই করে চলেছে এসব মাংস ব্যবসায়ী কসাইরা।
এদিকে গত এক সপ্তাহে পূর্বে বাছুর সহ গাভী জবাই করায় কসাই নুরুল ইসলাম সহ অন্যান্যদের তলব করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি। এসময় ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘৃণিত কোন কর্মকান্ড করবে না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।
ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি জানান- কসাইদের ঘৃণিত কাজের উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-