ডেস্ক রিপোর্ট – এক মোটরসাইকেল আরোহীকে পথরোধ করে আট লাখ টাকা ছিনতাইকালে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে জনতা। বুধবার বিকেলে ক্ষেতলাল উপজেলার জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের বটতলী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে ঘটে এ ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল কনস্টেবল মহিদুল ইসলামকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কালাই উপজেলার পুনট পূর্বপাড়ার মুরগি ব্যবসায়ী রতন মিয়া তার ভগ্নিপতি আব্দুল ছালেক মিয়াকে টাকা নিতে জয়পুরহাট ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে পাঠান। তিনি ব্যাংক থেকে ৮ লাখ তুলে বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। পথে সদর থানার শেষ প্রান্ত মেসার্স ডালিম ফিলিং স্টেশনের সামনে এলে সাদা পোশাকে থাকা পাঁচবিবি থানার কনস্টেবল মহিদুল ইসলাম তাকে থামতে বলেন। খালেক তার কথা না শুনতে পেরে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান। মফিদুলও তার পিছু নেন। ক্ষেতলাল থানা এলাকার বটতলী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে লেবু মোল্লার সারের দোকানের সামনে এলে কনস্টেবল মহিদুল ইসলাম তার গতিরোধ করেন। এ সময় টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে গেলে আব্দুল ছালেক চিৎকার দেন। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে এসে পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে। এ সময় পুলিশ পরিচয় দিলেও তিনি কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। পরে স্থানীয় লোকজন ক্ষেতলাল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে কনস্টেবল মহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
টাকার মালিক রতন মিয়া বলেন, এর আগেও আমার ১৪ লাখ টাকা একইভাবে ছিনতাই হয়েছে। থানায় মামলাও করেছি। কিন্তু আজও ওই টাকা উদ্ধার বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এবারের ঘটনায়ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
ক্ষেতলাল থানার ওসি শাহরিয়ার খান বলেন, পুলিশের এমন আচরণ কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঁচবিবি থানার ওসি বজলার রশিদ বলেন, কনস্টেবল মহিদুল ইসলাম থানার অনুমতি না নিয়েই ক্ষেতলাল থানার সীমানায় প্রবেশ করে তল্লাশির নামে ব্যবসায়ীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা তার একান্তই ব্যক্তিগত। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-