বিশেষ প্রতিবেদক :
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়া – টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবার নামে কাজ করছে হাজার হাজার এনজিও কর্মী। চাকরির সুবাদে বাসা বাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় জুটি বেঁধে অবৈধ মেলামেশা করে আসছে অসংখ্য এনজিও কর্মী। এসব এনজিও কর্মীরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে চাকরি করে গেলেও তাদের ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য উপাত্ত নেই প্রশাসনের কাছে। যার ফলে ঘটছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মাকান্ড। পুলিশ খবর নিয়ে মাঝেমধ্যে গুটিকয়েক জুটিকে আটক করতে সক্ষম হলেও উপরের তদবিরের কারণে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় এক বাসা ভাড়া বাসা থেকে ১ জুটিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে,উখিয়া সদরের হাজীর পাড়া রোডের মাথায় কাজী হারুনের ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল দুজন এনজিও কর্মী।
স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহ পুলিশকে অবহিত করে পুলিশ শনিবার ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে রুম থেকে একজন যুবক আরেকজন যুবতীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ তাদের পরিচয় গোপন রাখে তবে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তারা কুতুপালং ক্যাম্পে এনজিওতে কর্মরত রয়েছে। কিন্তু কোন এনজিও তে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, তারা যেহেতু এখনো স্বামী – স্ত্রী বলে দাবী করে আসছে, তাই আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি।
অভিযোগ উঠেছে, উখিয়ায় বিভিন্ন ভাড়া বাসায় এ ধরনের স্বামী – স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবৈধ ভাবে দৈহিক মেলামেশা করে যাচ্ছে শত শত এনজিও কর্মী। এসব বিষয়ে তদন্ত দেখলে বেরিয়ে আসবে আসল পরিচয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-