হুমায়ুন কবির জুশান :
কক্সবাজার-টেকনাফ শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়কজুড়ে চলছে সংস্কার কাজ। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় এই সড়কটি চার লেনে উন্নিতকরণের কথা থাকলেও ব্রীজ ভেঙ্গে দু’পাশ প্রশস্থকরণের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এরই মধ্যে টিকাদারের গাফেলতিতে দুর্ঘটনায় অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে আসা এনজিওদের মালবাহী গাড়ির কারণে সড়কের অবস্থা বেহাল। ঢাকা শহরকেও হার মানা দীর্ঘ যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে গ্রামীণ জনপদ উখিয়া-টেকনাফের এ সড়কটি। মেরামতকৃত সংস্কার কাজ এখনই শেষ করা না গেলে আসন্ন ঈদে ও বর্ষা মৌসুমে যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।
রাস্তায় খানা-খন্দে বিশাল গর্ত হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের পণ্যবহনে ভারি যানবাহন চলাচল ও দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় মেরামত না করায় সড়কে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে কোনো যানবাহন চলতে পারে না। যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, কুতুপালং, বালুখালী ও পালংখালীসহ গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনে দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। দু’পাশের সড়কের ( সোল্ডার ) ভেঙ্গে ও মাটি-পাথর সরে অগণিত বিপজ্জনক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রীজ ভেঙ্গে সংস্কারের কাজ করায় সড়কের পাশে বিকল্প পথে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। একসঙ্গে চলাচল করতে না পারায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়াও সবচেয়ে মারাত্নক অবস্থা হয়েছে স্কুল সময়ে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পারাপার। দীর্ঘ যানজটের কারণে একজন সুস্থ সচেতন মানুষ যেখানে রাস্তা পার হতে অনেক্ষণ সময় লাগে সেখানে কচিমনা শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্যে রাস্তা পারাপার অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, স্কুলের সামনে সব সময় ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা রাখা। অনাকাংখিত ঘটনা ঘটার আগেই সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটায় প্রত্যাশা সচেতন অভিভাবকদের।
সামনে আসছে বর্ষা মৌসুম। দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-