রোহিঙ্গাদের দ্বীপে সরিয়ে নিতে বাংলাদেশের তাড়া নেই

ডেস্ক রিপোর্ট – রোহিঙ্গাদের শরণার্থীকে বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপে সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ তাড়াহুড়ো করছে না। এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জাতিসংঘ আরও বিস্তারিত জানতে চাওয়ার পরপরই এক মন্ত্রী সোমবার (২৫ মার্চ) বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’কে এ কথা বলেন।

দেশের দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজার জেলার শিবিরগুলোতে বসবাসকারী ১০ লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা থেকে থেকে ভাসান চর নামে পরিচিত প্রত্যন্ত দ্বীপে ১ লাখকে সরিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। গত দুই বছর ধরে দ্বীপটিতে আবাসন তৈরির কাজ হচ্ছে। গত সপ্তাহে রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘ এই পদক্ষেপে বাংলাদেশকে সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে।

তবে, বিশ্বব্যাংক সোমবার (২৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন দাবি করেছে। সংস্থাটি বলে, আমরা ভাসান চরে মানব বসতি নির্মাণের সম্ভাব্য কার্যকরী প্রভাবগুলো পরীক্ষা করছি, যার মধ্যে প্রয়োজনীয়তা, সময় কাঠামো এবং খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সম্পর্কিত প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাথে বাংলাদেশ আলোচনা চলছে এবং তাদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কাজ করছে। তাই আমরা একটু ধীরগতিতে যাচ্ছি। স্থানান্তর করার কোন সঠিক তারিখ নির্ধারিত নেই। আমাদের কোন তাড়াহুড়ো নেই এবং এটি কেবল তখনই শুরু হবে যখন জাতিসংঘের মতো এমন মানবাধিকার সংস্থা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এটাকে নিরাপদ মনে করবেন।’

রহমান আরও বলেন, সরকার দ্বীপটিতে আরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়স্থল নির্মাণের জন্য কাজ করছে, যা মূল ভূখণ্ড থেকে নৌকায় কয়েক ঘন্টার যাত্রা। তবে, বহু রোহিঙ্গা স্থানান্তর পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।

আরও খবর