কক্সবাজার সদরে চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা

শাহীন মাহমুদ রাসেল :

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মহোৎসব শুরু হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলায়। দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার লাগানো, শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে এখনও ঝুলছে রঙ্গিন পোস্টার। আর মাইকিং এর সময়সীমা রাত আটটা পর্যন্ত হলেও সেই সময়সীমা মানছেন না বেশীরভাগ প্রার্থীই। রাত নয়টা কখনো বা আরও বেশী সময় ধরে চলছে মাইকিং করে প্রচার কাজ। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক প্রার্থী। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

৩১ মার্চের নির্বাচনকে সামনে রেখে সব প্রার্থীই যেন নেমেছেন আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতায়।

সরেজমিনে সদর উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাসা-বাড়ির দেয়ালে আঠা দিয়ে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, যদিও দেয়ালে পোস্টার লাগানো নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া খোদ উপজেলা নির্বাচন অফিসের আশেপাশের গলিতে ও দেয়ালে এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছগুলোতে লোহা দিয়ে লাগানো হয়েছে বিলবোর্ড।

কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র পান বাজার রোড়ের মুখে ফার্মেসির মালিক নাম প্রকারে অনিচ্ছুক আক্ষেপ করে এ প্রতিবেদককে বলছিলেন, এতদিন দেখতাম পোস্টার সুতোয় বেঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হতো কিন্তু এই (উপজেলা) নির্বাচনে দেখছি ভিন্ন চিত্র। আমার দোকানের আশেপাশের দেওয়ালগুলো একটাও খালি নেই সবগুলোতে পোস্টার লাগিয়ে ভরিয়ে ফেলেছেন প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা।

কক্সবাজার সরকারি কলেজ গেইটের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভাই দুঃখের কথা কি বলব? কয়েকদিন আগে মাত্র দেওয়াল রং করিয়েছিলাম কিন্তু নির্বাচনী পোস্টার লাগিয়ে আমার দেয়ালগুলোর সৌন্দর্য সব নষ্ট করে ফেলেছে। সব প্রার্থীই প্রভাবশালী তাই মুখ ফুটে প্রতিবাদও করতে পারছি না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শিমুল শর্মা এর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে। আজকেই আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। তাছাড়া কিছু প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্কও করা হয়েছে। আমাদের অভিযান নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

আরও খবর