দুঃখ মুছার দাবাই দোকানে নেই!

আলমগীর মাহমুদ

আবেগঘন ম্যাসেজ। স্যার, আপনার ক্লাসে বলা কথাগুলো মনে করে নিজের ভেতর আজও প্রেরণা পাই। যখন পড়াতেন তখনই জানান দিয়েছিলেন। এই কথা তোমাদের একদিন কাজে আসবে। তখন ভাবিনি কথাগুলো যে শুধু কাজে নয়, বেঁচে থাকার হাতিয়ার বনবে।

বেশ দুখে ভরা নিয়তি আপনার।তারপরেও আপনাকে যে পরিমাণ হাসতে দেখেছি।পৃথিবীর অনেক কড়িওয়ালার সাথে দেখা হইল। কারো মুখে তার ছিটেফোটাও দেখলাম না।আপনার এই মিছাহাসির কৌশলটা জানাবেন স্যার।বড্ড প্রয়োজন।

যদি সম্ভব হয় আপনার দুখ ভুলার গোপন রহস্যাটা ও জানিয়ে বাধিত করলে অধম বাঁচার নুতন স্বপ্নবুনবে।

গোস্তাকী করে গেলুম জানি। প্রচন্ড মনঃতাপে আদব কায়দা যে ঠিক রয় না !নামটা গোপন রইল।ধন্যবাদ স্যার।

দুঃখ,দারিদ্র,টেনশন এই তিনজনকে বন্ধু বানিয়েই মানুষের কাল কাটে ধরাধমে।ধরতে চাওয়া ভালবাসা সেতো রয় লোডশেডিং লোডশেডিং ভাবে।একসময় সেও জানান দেয় “ভালবাসা ধারের দ্রব্য।দেনার জিনিস ফেরত দিতে হয়।সে constant কোন দ্রব্যও নয় যে সদা একইরূপ পাওয়া যাইবে।

ধন,সুখ এই দুইয়ের দেখাও জীবনে মেলে রাত্রিকালীন মেহমানের মত। রাত্রিকালীন মেহমান কেউ দেখে কেউ আবার দেখেও না। এইসব মিলিয়েই জীবন।

প্রথম জীবনে মানতে বেশ কষ্ট।অভিমান জন্মে মুণিবের উপরও” অ আল্লাহ যারা জীবনে বেশী বেশী পাপ করতে দেখেছি তারাই গাড়ি বাড়ির মালিক।ক্ষমতাও তাদের দরজায় কড়া নাড়ে।আমরা যারা সৎ,ভাল থাকতে চাই।তারা দিনে দিনে অচল মুদ্রা বনিলাম।

কি কারণ? আমরা মসজিদ মন্দিরে যাই। যারা ধনের রাজত্বে, ক্ষমতার মালিক তোমার সাথে দেখা করার সময়ও নেই তাদের।তারপরও তুমি তাদেরকেই বানিয়েছো আমাদের চরিত্রের সার্টিফিকেট দাতা।মনে প্রশ্ন জাগে আমারে মনে হয় আল্লাহ পছন্দ করেন না।আমার ইবাদত বন্দেগী ও মনে হয় কবুল হচ্ছেনা।

আল্লাহ যাহ করে ভাল এর জন্য করে।কথাটা বুঝনর শক্তি থাকলেই বুঝনত আইয়ে।যাদের অন্যায় করে ক্ষনিক চরিত্র সনদ দাতা । Natural Justice বলে একটা অলিখিত বিধানে তারা হয় কাল ঘর ছাড়া।নয়ত বড় কোন রোগের হাতে সোপর্দ।

যাদের গাড়ি বাড়ির মালিক দেখছি তারা ঔষধের বড়ির করুণায় ঘুমায়। নতুবা ডাক্তারের নিষেধ একটা আটা রুটি সামান্য তিতকরল ভাজি ছাড়া কিছু খেতে পারবেন না। এইসব বিষয় মনে নেয়া যায়, মেনে নিতে সময় লাগে।বিষাদের সিন্ধুতে সাঁতরাতে সাঁতরাতে একসময় সবই ঠিক হয় যায়। স্বাভাবিক হয়ে পড়ে উচু নীচু।

ময়লা কাপড়ের, মলিন চেহেরার, হাসি ছাড়া মানুষ বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় অভিশপ্তের মতই।এই দুই শ্রেণির আড়ালে চলে যায় মানুষ। আগে মানুষ চেহেরা খারাপ কেন? খেতে পারে নাই শুনলে দরদ দেখাত।

এখন আসল অবস্থা জানলে দ্বিতীয় বার ফোন ও রিসিভ হয় না।অভাবীর আর চেহেরা কাল মানুষের কোন পারমেনেন্ট বন্ধু রয় না।তাই সমাজ বাস্তবতায় জোর করে হাসতে হয়…. হউক তাহ মিছা হাসি…!

(আগামী সংখ্যায় আমি কিভাবে দুঃখ কমাই)

আরও খবর