কায়সার হামিদ মানিক :
অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শরনার্থী শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। দিন দিন হয়ে উঠছে বেপরোয়া ও হিংস্র।
শুধু ক্যাম্পেই নয়, রোহিঙ্গাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না দুই উপজেলার মানুষেরও। এরইমধ্যে তাদের রোষানলে একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, বিদেশি পরিদর্শক দলের প্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
দেড় বছরে রোহিঙ্গা শিবিরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২৫টি। হত্যা, ধর্ষণ, মাদক পাচার, ডাকাতিসহ কোনো অপরাধ থেমে নেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
সর্বশেষ শনিবার নৌকার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় রোহিঙ্গাদের হামলার শিকার হয়েছেন কুতুপালং ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল করিম । পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, দিন দিন অপরাধ জগতে বেড়ছে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা। তাদের মারমুখী আচরণে স্থানীয়দের মাঝে নিরাপত্তা শঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে। তাদের দমন করা মুশকিল হয়ে পড়ছে।
উখিয়ার বালুখালী ইউপি মেম্বার নুরুল আবসার চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা আশপাশ থেকে স্থানীয়দের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, শাক-সবজি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিবাদ করতে এলেই সংঘবদ্ধ হয়ে তেড়ে আসে তারা। রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ও ক্যাম্পের বাইরে কি করছে, কোথায় যাচ্ছে তা তদারকি করা প্রয়োজন।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, দেড় বছরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও ফৌজদারি অপরাধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তিন শতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৭১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজারের এডিশনাল এসপি মো. আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘ক্যাম্পে লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে কিছুসংখ্যক উশৃঙ্খল লোক আছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-