কক্সবাজারে পর্যটক হত্যাকারী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট – কক্সবাজারে পর্যটক আবু তাহের সাগরের হত্যাকারী শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কুরবান আলী ডিবি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এই সময় ডিবির চার সদস্যও আহত হয়।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের খুরুশকূল ব্রিজ এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ খুরুশকুল এলাকায় অভিযানে যাচ্ছিল। ডিবি পুলিশ সদস্যরা খুরুশকূল ব্রিজ পার হওয়া মাত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।

এ সময় ৪ ডিবি পুলিশ সদস্য আহত হয়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সড়কের ওপর একটি অস্ত্র ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ এক সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকীৎসক ওই সন্ত্রাসীকে মৃত ঘোষণা করে।

হাসপাতালে আনার পর স্থানীয়রা ওই সন্ত্রাসীকে পর্যটক আবু তাহের সাগরের হত্যাকারী কক্সবাজার শহরের শীর্ষ ছিনতাকারী মো. কুরবান আলী বলে শনাক্ত করে। সে শহরের মোহাজের পাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় এলাকায় পর্যটক আবু তাহের সাগরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে কুরবান আলীর নেতৃত্বে একদল ছিনতাইকারী। নিহত পর্যটক সাগর ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার মংগলগান্ধী গ্রামের শফিউল্লাহর ছেলে।

সাগরসহ তিন বন্ধু ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেস্বর কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। পরের দিন শুক্রবার সকালে শহরের জাম্বুর দোকান এলাকায় ছিনতাইকারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।

ছিনতাইকারীরা তাদের মুঠোফোন ও টাকা-পয়সা চাইলে তারা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এ সময় কুরবান আলী পর্যটক সাগরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সাগরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

/পরিবর্তন

আরও খবর