কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :
প্রায় শেষ মুহূর্তে এসেই স্থগিত হলো কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ফলে নির্ধারিত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না উপজেলাটির নির্বাচন। উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপজেলাটির নির্বাচন অনিশ্চিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলামের করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, আপীল বিভাগের ওই নির্দেশের পরপরই নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকালই কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লার কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়,আপীল বিভাগের লিভ টু আপীল (নং ৮৬৮/২০১৯) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্যও রিটার্নিং অফিসারকে অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, ৫ মার্চ শুনানীকালেও ঋণ খেলাপী হওয়ায় কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়পত্র দাখিলকারী আজিজুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ৭ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্তও যা বহাল ছিলো। কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ৮ মার্চ রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ১০ মার্চ প্রার্থীতা ফিরে পাওয়াসহ নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পেতে আজিজুল হক হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১১ মার্চ শুনানী শেষে আদালত ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে আজিজুলের হকে প্রার্থীতা বৈধকরণ এবং প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
১৪ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী আপীল করলে আদালত ১১ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন। ফলে আইনি জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-