ডেস্ক রিপোর্ট – ট্রাফিক সপ্তাহ চলার মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে এ অবরোধের ফলে বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা-গুলিস্তান রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ওই রুটের উভয় দিক থেকে আসা যানবাহন রাধানীর কুড়িল মোড় থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আবিরের বুকে রক্ত কেন?’, ‘কয়লা সড়কে রক্ত কেন?’, ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘ভাইয়ের বুকে রক্ত কেন?’, ‘প্রশাসনের প্রহসন মানি না মানব না’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হোক’- বসুন্ধরা গেট এলাকা অবস্থান নেওয়া অবরোধকারী বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসব স্লোগানের দিচ্ছেন। পাশাপাশি তারা বহন করছেন হাতে লেখা প্লাকার্ডও।
এ ঘটনায় ১২ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ১. দশদিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক, হেলপার ও মালিকের ফাঁসি। ২. সু-প্রভাত ও জাবালে নূরসহ যেসব বাস আজ ও এর আগে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব বাসের রুট পারমিট বাতিল। ৩. চালক-হেলপারের ডোপটেস্ট করা। ৪. বাসসহ গণপরিবহনের চালক-হেলপারের আইডি কার্ড ভিজিবল করা। ৫. বসুন্ধরা আবাসিক/যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নিহত আবরারের নামে দুই মাসের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ করা।
পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীতে নর্দ্দা এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবরার আহমেদ চৌধুরী (২০)। তিনি আবরার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-