হামলাকারী কে, কেন হামলা?

অনলাইন ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে; ওই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার না করলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে তার পরিচয় ও হামলার উদ্দেশ্য।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে আল নূর নামের মসজিদে হামলা হয়। আল নূর ছাড়াও হামলা হয়েছে ক্রাইস্টচার্চের আরেকটি মসজিদেও। এতে সব মিলিয়ে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেসে বলা হয়েছে, ২৮ বছর বয়সী ওই হামলাকারী একজন শ্বেতাঙ্গ। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন। দুই বছর ধরে হামলার পরিকল্পনার ছিল তার।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলিস্টারের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, হামলা চালানোর আগে ৯৪ পৃষ্ঠার একটি ঘোষণাপত্র ছড়িয়েছেন তিনি। এতে ওই যুবক নিজেকে ব্রিন্টন ট্যারান্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ‘সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার ইউরোপীয়ানের প্রাণহানির’ প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছেন ওই ঘোষণাপত্রে। 

ওই ঘোষণাপত্রে হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূমি কখনই তাদের ভূমি নয়। যতদিন পর্যন্ত শেতাঙ্গরা বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত অমাদের বাসভূমি আমাদের। তারা কখনই আমাদের ভূমি দখল বা আমাদের মানুষদের ভূমি ত্যাগ করাতে পারবে না।’

২০১১ সালের নরওয়েতে হামলা চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যার ঘটনাটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারী। তার ভাষ্যমতে, সুইডেনে হামলার প্রতিশোধ তার এই হামলা। 

হামলার সময় মাথার সঙ্গে লাগানো একটি বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে ওই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ প্রচার করেন হামলাকারী। লাইভ শুরু করার সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই পার্টি শুরু করা যাক।’

এক পর্যায়ে আল নুর মসজিদের ভেতরে পুরুষদের কক্ষে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়ে মানুষ হত্যা করতে দেখা যায় তাকে। এরপর তিনি প্রবেশ করেন নারীদের নামাজের কক্ষে।  পরে গুলি ছুড়তে ছুড়তে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যান তিন। শেষ পর্যায়ে এক তরুণীকে গুলি করে পালিয়ে যান ওই যুবক।

আল নুর মসজিদে জুমার নামাজের সময় চালানো এ হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। হামলা চলাকালীন মসসিজদের ঢোকার মুহূর্তে এক নারী তাদের বিষয়টি জানালে দ্রুত ফিরে যান তারা।

আল নুর ছাড়া অন্য মসজিদটিতে কে হামলা চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই মসজিদের হতাহতের সংখ্যা নিয়েও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আডের্ন বলেছেন, সন্ত্রাসীদের স্থান নিউজিল্যান্ডে নেই। 

আরও খবর