ডেস্ক রিপোর্ট – উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিন পার্বত্য জেলায় সেনা মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিভাগে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বুধবার (১৩ মার্চ) তিনি এই তথ্য জানান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
তিনি বলেন, “তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আমরা কমিশনকে জানিয়েছি। এই ব্যাপারে শিগগিরি পরিপত্র জারি হবে। যেহেতু ১৮ তারিখে (১৮ মার্চ) নির্বাচন হবে, আমাদের হাতে কিন্তু সময় নেই। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি “
সভায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রেও সেনাসদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। আজকেই (বুধবার) চিঠি যাচ্ছে। সেখানে প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবাহিনী থাকবে। নির্বাচন কমিশনেরও প্রচুর সংখ্যক কর্মকর্তা থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ভোটগ্রহণের সময় এক প্লাটুন করে অতিরিক্তি বিজিবি মোতায়েন থাকবে।
তফসিল অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের উপজেলাগুলোতে বিভিন্ন ধাপে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ না করার নির্দেশনা দিয়ে কবিতা খানম বলেন, কোনো প্রলোভন যেন আপনাদের স্পর্শ না করে। প্রার্থীরা শুধু প্রার্থী হিসেবেই থাকবে। অন্য কোনো পরিচয়ে তারা যেন আপনাদের কাছে না পরিচিত না হন। তাহলে পক্ষপাতমূলক আচরণের সুযোগ থাকবে না। প্রথম ধাপের নির্বাচন আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি। বাকি চারটি ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করতে চাই।
প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, কারো বিন্দুমাত্র গাফেলতি থাকলে, সেটা প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা রাজনৈতিক নেতা হোক, কাউকে নির্বাচন কমিশন ছেড়ে কথা বলবে না। আপনাদের হুমকি-ধমকি দেবে, অনেক কথা বলবে। কে কী বললো সেটা না দেখে সোজা পথে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, বিন্দুমাত্র অনিয়ম পরিলক্ষিত হলেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আমরা চাইবো- সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে যাতে এই নির্বাচনটা হয়।
সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বিভাগের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কর্মকর্তা, র্যাব-পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-