ডেস্ক রিপোর্ট – চট্টগ্রামে পরকীয়ায় জড়িত স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে অভিমান করে তরুণ চিকিৎসক ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার মামলা আবারো আলোচনায়।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনায় দায়ের মামলায় বিদেশে থাকা পলাতক আসামিদের দেশে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে আকাশ ও তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে মুছে ফেলা ছবি, ভিডিও এবং এসএমএস পুনরুদ্ধারে মোবাইল সেট দুটি সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো ডা. আকাশের মৃত্যুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার জানায়, ৬ আসামির মধ্যে শুধু মিতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিরা পলাতক। এর মধ্যে বেশিরভাগ আসামি আমেরিকায় অবস্থান করছে। স্ত্রীর পরকীয়াকে দায়ী করে ১ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের তরুণ চিকিৎসক ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ।
এ ঘটনায় আকাশের মা জমিরা খানম বাদী হয়ে মিতুসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বাকি ৫ আসামি হলেন, মিতুর মা শামীম শেলী, বাবা আনিসুল হক, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা, মিতুর বয়ফ্রেন্ড ও পরকীয়া প্রেমিক আমেরিকা প্রবাসী প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মিতু। পুলিশ মিতুর দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে নিজ শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। এ রাতেই গ্রেফতার হন তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতু।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-