টেকনাফ প্রতিনিধি :
আগামী ২৪ই মার্চ টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে লড়াই হবে ত্রিমুখী। অল্প ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারণ হতে পারে। টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী (নৌকা), চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর আহমদ (আনারস), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম (মোটরসাইকেল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আবদূর রহমান বদি নৌকা প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাতভর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাইকে মাইকে চলছে প্রার্থীদের গুণগান সেই সঙ্গে চাচ্ছে তাদের মূল্যবান ভোট।
এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আটজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর বাড়ি ২ নং হ্নীলা ইউনিয়নে। চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহমদ এবং নুরুল আলম যথাক্রমে ৩ নং টেকনাফ সদর ইউনিয়নে।
১৯৩০ সালে টেকনাফ থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। টেকনাফ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন আছে। সম্পূর্ণ টেকনাফ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন।
টেকনাফ উপজেলায় রয়েছে ৬টি ইউনিয়ন ১নং হোয়াইক্যং,২নং হ্নীলা,৩নং টেকনাফ সদর,৪নং সাবরাং,৫নং বাহারছড়া,৬নং সেন্টমার্টিন । গত নির্বাচনে এসব ইউনিয়নে একচেটিয়া ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর আহমদ।
তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ওই সব ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মীরা আঞ্চলিকতা বাদ দিয়ে দলীয় নৌকা মার্কায় ভোট দিলে ভোটের ফলাফল নৌকার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিশাল একটা ভোট ব্যাংক থাকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলছেন বলে ভোটাররা জানান।
অপরদিকে নৌকার নিজস্ব ভোট ব্যাংকের পাশাপাশি সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক।
তাছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ আবদূর রহমান বদির সমর্থন রয়েছে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর প্রতি তাই নির্বাচনে কে জিতবে বলা মুশকিল। তাই নির্বাচন হবে ত্রিমুখী। উত্তরের ভোট যার বাক্সে বেশি পড়বে তার ভাগ্যেই জুটবে বিজয়ের মালা। অপরদিকে অনেক ভোটারের মনে ভোট নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তাদের বক্তব্য ভোট দিয়ে কি হবে। যে জিতার সেতা জিতবেই।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-