ডেস্ক রিপোর্ট – প্রতারণার মাধ্যেমে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আলামত তসরুপ করার অভিযোগে আড়াইহাজার থানার সাবেক ও রূপগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হারুনুর রশিদের (পিপিএম বার) নির্দেশে রূপগঞ্জ থানা থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ২২ মে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলতলীর দেবই এলাকায় র্যাব-১ এর একটি দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার আশরাফ খানের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বাচ্চু খান নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব বাচ্চু খানের ব্যবহৃত নিশাত এক্সট্রেইল জিপগাড়িসহ ( ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-০১১২) ৯ হাজার ৮শ’ ৩০ পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন র্যাব-১ এর কর্মকর্তা খালেদ হোসেন বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন এবং আলামতগুলো জব্দমূলে থানায় জমা দেন। পরবর্তিতে গত জুলাইয়ে বাচ্চু খানের মা ফুলেছা খাতুন গাড়ি আনতে আড়াইহাজার থানায় গেলে ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হক তাকে ফিরিয়ে দেন। এদিকে ওসি আব্দুল হক রূপগঞ্জে বদলি হয়ে যাবার পর ফুলেছা খাতুন আড়াইহাজার থানায় গিয়ে জানতে পারেন ওসি গাড়িটি সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। তিনি খোঁজ নিয়ে আরও জানতে পারেন গাড়িটি যে শো-রুম থেকে ক্রয় করেছেন, ওসি একই শো-রুমের ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে আদালতে তার মামা শ্বশুর মোঃ মাসুদ রানাকে ভূয়া মালিক সাজিয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই গাড়িটি নিজের করে নেন এবং বিআরটিএ এর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেসন করান। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফুলেছা খাতুন বাদি হয়ে আলামত তসরুপ করার অভিযোগে ৪ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় পুলিশ সুপার মোঃ হারুনুর রশিদের (পিপিএমবার) নির্দেশে রূপগঞ্জ থানা থেকে মোহাম্মদ আব্দুল হককে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হক। তবে এ ঘটনাকে তিনি সাজানো নাটক দাবি করে বলেন, তার দুসম্পর্কের আত্মীয় মাসুদ রানা গাড়ির প্রকৃত মালিক। তিনিই গাড়ি নিয়ে গেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-