রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়ায় ফসলি জমির পরিমাণ কমছে

বিশেষ প্রতিবেদক :

রোহিঙ্গাদের কারনে উখিয়ার তিন ফসলি জমিজমা, পুকুর, জলাশয়ের পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। ঐসব স্থানে মাটি ভরাট করে নির্মান করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার পাকা আধাপাকা ও বহুতল ভবন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সেবায় কর্মরত এনজিও ও তাদের কর্মজীবিদের ব্যাপক ভাড়া বাসার চাহিদার সুযোগে জমির মালিকেরা ক্ষেত-খামার ও ফসল উৎপাদনের বিপরীতে বাসা ভাড়া লাভজনক মনে করে নির্বিচারের ফসলি জমি-জমা ভরাট করা হচ্ছে বলে স্বীকার করে কৃর্ষি কর্মকর্তা জানান রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ফসলি জমিতে স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন স্থানীয় বনবিভাগ যদি পাহাড় কাটার উপর কঠোরতা অবলম্বন করত তাহলে জমি ভরাট করে গৃহ নির্মান কারো পক্ষে সম্ভব হত না।

উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ উপজেলায় সারে ১০ হাজার হেক্টরের ও অধিক ৩ ফসলি জমি-জমা রয়েছে। যেসব জমির উপর নির্ভর করে এলাকার কৃষক সমাজ জীবন জীবিকাসহ তাদের পারিবারিক বিভিন্ন ভরন পোষনাদি নিবার্হ করে থাকে।

রোহিঙ্গা আসার পর থেকে বিশেষ করে পালংখালী ইউনিয়নের প্রায় একশত হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদ করতে পারেনি কৃষকেরা। তারা জানান রোহিঙ্গাদের বেপরোয়া চলাচল তাদের ব্যবহার্য বৈজ্য ও তাদের মলমূত্র ত্যাগ করার কারনে জমিগুলো অনাবাদি রয়ে গেছে।

কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান পালংখালী থেকে মরিচ্যাপালং পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে এক কিলোমিটার বি¯তৃত এলাকায় চোখ খুললে দেখা যাবে চাষাবাদের জমি, পুকুর ও জলাশয়গুলোতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে।

এ নিয়ে বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান এক কানী জমিতে যে পরিমান ধান উৎপাদন হবে তার ৩ গুন উঠে আসবে ভাড়া বাসা থেকে। স্থাণীয় কৃষক নুরুল ইসলাম জানান তার চল্লিশ কড়া জমি ছিল । ঐ জমিতে সে একটি টিন শেড পাকা ঘর তুলেছে, এনজিও সংস্থাকে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করছে। এভাবে শতশত কৃষক তাদের ফসলি জমি গুলো ভরাট করে ভাড়া বাসা নির্মান করায় উখিয়া ফসলি জমির আয়ত দিন দিন কমে আসছে। এ জন্য কৃর্ষি বিভাগ স্থানীয় বনবিভাগকে দায়ী করে বলেন বনবিভাগ পাহাড় কাটাঁর উপর কঠোরতা অবলম্বন করলে মাটি সংকটে পড়ে কৃষি জমি ভরাট করার সুযোগ ছিল না।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো: ফখরুল ইসলাম জানান উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালুমাটি দিয়ে কৃর্ষি জমি ভরাট করার ফলে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

তিনি জানান যে সমস্ত দুবৃত্ত মাটি ও বালি পাচারের সাথে জড়িত তাদের সৃনিদিষ্ট তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেলে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী তরিকুর রহমান জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওদের ইস্যু তুলে স্থানীয় কতিপয় দুবৃত্ত প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছে। বিষয়টি উধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও খবর