কক্সবাজারে আধুনিক শুটকি মহাল করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারে আধুনিক শুটকি মহাল ও ইটিপি স্থাপন করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৪৫ একর জমির ওপর ২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের খুরুশকুলে ‘একটি আধুনিক শুটকি মহাল ও ইটিপি’ স্থাপিত হবে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শুটকি মহাল স্থাপিত হবে। শুটকি মহাল ও ইটিপি স্থাপনের কাজটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন।

বুধবার বিএফডিসির সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনাবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এই কথা জানানো হয়।

বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) দিলদার আহমদের সভাপতিত্বে সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবল বোস মনি, জয়েন্ট চিফ লিয়াকত আলী বক্তব্য দেন।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ক্লাস্টারভিত্তিক সেমি-ইম্প্রোভড ও আধুনিক শুটকি প্রক্রিয়াকরণ-পদ্ধতি চালু করা, রাসায়নিক পদার্থ ও ধুলিকণামুক্ত শুটকির সরবরাহ নিশ্চিত করা, গুণগতমানসম্পন্ন কাঁচামাছ সংগ্রহের জন্য আধুনিক মৎস্য অবতরন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং শুটকিমাছের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারসৃষ্টি করা।

প্রকল্পের নির্মাণকাজের মধ্যে ৫০ টনের আইস প্লান্ট, মৎস্য অবতরণ ও প্রক্রিয়াকরণ শেড, ২৪৫০টি গ্রিনহাউজ বেসড মেকানিক্যাল ড্রায়ার, ৫০টি সেমি মডার্ন মেকানিক্যাল ড্রায়ার ৫০০ ও ৩০০ টনের ২টি কোল্ডস্টোরেজ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব, ফিসমিল ও ফিস ওয়েল প্লান্ট ও মেশিন রুম নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও ড্রাইফিস মার্কেট, মাল্টিপ্লেক্স বিল্ডিং, কনভেয়র বেল্ট (জেটি হতে ল্যান্ডিং স্টেশন), ট্রাক পার্কিং, প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, ইলেক্ট্রিক সাবস্টেশন ও জেনারেটর হাউজ, ৪টি টয়লেট জোন, ইটিপি ও ডব্লিউটিপি স্থাপন এবং ২৪ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ রোড-নেটওয়ার্কও তৈরি করা হবে বলে পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়।

আরও খবর