কক্সবাজারের ৬ উপজেলায় নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন ওরা ১১জন

সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল ডটকম

জেলার ৭ উপজেলায় আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে লড়তে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে মাঠ সরগরম করে তুলেছেন সরকারী দলের প্রার্থীরা। বিশেষ করে ৬টি উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১১জন।

যেহেতু বিএনপিসহ তাদের সমমানের কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে কৌশলে দুরে থাকার চেষ্টা করছে সেহেতু দলের ভেতর থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সাহস দেখাচ্ছেন একাধিক আওয়ামী লীগ আদর্শের অনুসারী প্রার্থী।

যদিও জেলা আওয়ামী লীগের দাবী-দলের সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও প্রত্যাহারের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কারনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবেনা জানিয়ে জেলার দায়িত্বশীল নেতারা আরো বলেন-“শুধু আমরা কেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে প্রয়োজনে দলের হাই কমান্ডও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।”

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযারী ২৬ ফেব্রুয়ারী ছিলো চেয়ারম্যানসহ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। আর সেই তফসিল অনুযায়ী চকরিয়া ছাড়া জেলার ৭ উপজেলা অর্থাৎ কক্সবাজার সদর, রামু, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ১৮জন।

এদের মধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজার সদরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের কনিষ্ট পুত্র জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল ছাড়া দল বাবা দলের বাইরে থেকে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সে ক্ষেত্রে যাচাই-বাছায়ে টিকে গেলে আগামী ১ মার্চ তিনি বেসরকারীভাবে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে যাবেন।

অন্যদিকে রামু উপজেলায় দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল।

উখিয়ায় নৌকার প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, তাঁর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর চৌধুরী ও ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

টেকনাফ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, তাঁর সাথে রড়তে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর আলম, টেকনাফ উপজেলা যুব লীগের সভাপতি নুরুল আলম ও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ঈসমাইল সিআইপি।

পেকুয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন, উপজেলা যুব লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

মহেশখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হোসাইন ইব্রাহীম, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ বাদশা ও উপজেলা যুব লীগের সভাপতি সাজেদুল করিম।

কুতুবদিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য আহামদ উল্লাহ’র ছেলে আজিজুল হক সাগর। এখন দেখার অপেক্ষা কি ঘটতে চলেছে ২৪ মার্চের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।

আরও খবর